ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা। তবে এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দিয়াজের পরিবার বলছে, তারা হত্যামামলা করতে যাচ্ছেন বলে ‘তড়িঘড়ি’ করে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় দিয়াজের লাশ পাওয়ার পর সোমবার তার ময়নাতদন্ত হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরিবার হত্যার অভিযোগ তোলার পর একই দাবি করে গতকাল সকালে ‘হত্যায় জড়িতদের’ গ্রেফতারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করে তার সমর্থক ছাত্রলীগকর্মীরা। এর কয়েক ঘণ্টা পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা জানান চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) রেজাউল মাসুদ। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তিন চিকিৎসকের দেওয়া প্রতিবেদনে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার কারণে শ্বাস বন্ধ হয়ে দিয়াজের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি দিয়াজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। পরিবার ও সহকর্মীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কোন্দল থেকে কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে।
দিয়াজের মৃত্যুর পর তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন দেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা বিলকিস। তাতে বলা হয়েছিল, লাশের গলায় দাগ ছাড়াও দুই হাতের কনুইয়ের আশপাশে লালচে দাগ দেখা গেছে। এছাড়া বাঁ পায়ে সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
রেজাউল জানান, সুরতহাল প্রতিবেদনে থাকা হাতের ‘কনুইয়ের দাগ’ কারও ‘নখের নয়’ বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পরিবারের প্রত্যাখ্যান : দিয়াজের দুলাভাই সরওয়ার আলম বলেন, পরিবার মামলা দায়ের করছে এরকম খবর পেয়ে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে দিয়াজের মৃত্যুর সময় উল্লেখ নেই। আমরা এ প্রতিবেদন নিয়ে কী করব তা আইনজীবীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী