ডেস্ক রিপোর্ট : ডায়রিয়া রোগটি সম্পর্কে জানেননা এমন কেউ থাকার কথা নয়। এই রোগটির যথাযথ চিকিতসা করতে আধুনিককালে সাধারণত ওরসাল্যাইন, এন্টিবায়টিক এবং আরো কিছু ওষুধ দেয়া হয়।
কিন্তু, অনেক আগেও কিন্তু এর চিকিত্সা প্রচলিত ছিল। আধুনিক বিজ্ঞানের মত না হলেও সেগুলো ছিল বেদভিত্তিক ও সফল। আয়ুর্বেদে এই রোগটিকে ‘অতিছারা’ বলা হয়.
– ‘ঘোল’ শব্দটির সাথে সবাই কম-বেশি পরিচিত। ডায়রিয়া চিকিত্সায় সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক সম্পূরক এটি। ঘোলের এক গ্লাস, এক চিমটি লবনের সাথে মিশিয়ে খেলে সেটা ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
– ডায়রিয়ার সঙ্গে বমি থাকলে, সামান্য মধু যোগ করে আম বীজের সাথে খাওয়া যেতে পারে
– মধু ও আমের বীজের গুড়া মিশিয়ে দিনে দুইবার করে খেতে হবে
– এক চা চামচ তাজা হলোুদ গুঁড়া এক কাপ ঘোলের সাথে গ্রহণ করা হয়.
– এক চিমটি লবণ তাজা টমেটো জুসে মিশিয়ে এক গ্লাস পান করলে তা ডায়রিয়া প্রতিরোধ করবে
– দুই চামচ ঘি এর সাথে ১ চামচ তিল মিশিয়ে দিনে দুইবার নিলে এটা ডায়রিয়া হতে বাধা দেয়.
– ডায়রিয়ার সাথে পেটে ব্যথা থাকলে, পানি গরম করে এক চিমটি লবণ ও একটি চিমটি মরিচ জোগ করে পান করুন
– তাজা পুদিনা পাতার রসের সাথে একটু লেবু ও মধু মিশিয়ে পান করলে তা ডায়রিয়াতে জাদুকরি প্রভাব ফেলে
– ধনে পাতা, ডালিমের রস ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করবে
– বরই (কুল) থেকে পেষ্ট তৈরি করে, সাথে বেলে পাতার রস ও একটু গুড় মিশিয়ে নিলে তা ডায়রিয়াতে ভাল কাজে দিবে।