ডেস্ক রিপোর্ট : প্রথমেই বলে রাখি পবিত্র বেদ মানবতার ও যৌক্তিকতার প্রতিমূর্তি। এটি কোনো নির্দিষ্ট অযৌক্তিক নিয়ম কানুন, পোশাক-পরিচ্ছেদ নরকের আগুনের ভয় দেখিয়ে মানুষের উপর চাপিয়ে দেয় না। আবার মধ্যযুগীয় বর্বর আইনগুলোর মতো এটি নারীদের পোশাক নিয়ে সারাক্ষণ নোংরা গবেষণায় ব্যস্ত থাকে না। পোশাকের ধরন অঞ্চল, আবহাওয়া-জলবায়ুর তারতম্যভেদে পরিবর্তিত হওয়াই স্বাভাবিক। তারপরেও পোশাকজনিত ভদ্রতার গুরুত্ব একেবারে অস্বীকার করা যায় না। মহান বৈদিক সভ্যতায় তাই পোশাকের শালীনতার গুরুত্ব রয়েছে, তবে তা সীমা বজায় রেখেইÑ
অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর।
মা তে কশপ্লকৌ দৃষান্তস্ত্রী হি ব্রহ্মা বভুবিথ।।
(ঋগ্বেদ ৮.৩৩.১৯)
অনুবাদ-হে পুরুষ ও নারী,তোমাদের দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত।তোমাদের চলন হোক সংযত,দেহ হোক পোষাকে আবৃত,নগ্নতা হোক পরিত্যজ্য।অর্থাত্ স্বেচ্ছায় অশ্লীলতা তৈরী করার জন্য সেই ধরনের পোষাক পরিধান করা ঠিক নয়,পোষাক নির্ধারিত হোক প্রয়োজনীয়তা ও রুচিশীল সৌন্দর্য্যের উপর ভিত্তি করে।