যীশু পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ দিয়ে পাঁচ হাজার লোককে খাওয়ালেন’
খ্রিস্টীয় দর্পণ ডেস্ক
যীশু তার শিষ্যদের বললেন, ‘চলো আমরা বিশ্রাম নেবার জন্য একটি নির্জন জায়গা খুঁজে বের করি।’ তিনি শুনছিলেন যে, তার বন্ধু বাপ্তিস্মদাতা যোহনকে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে, তাই তিনি কিছু সময় একাকী থাকতে চাইলেন। কিন্তু অনেক লোক যীশুকে দেখার চেষ্টা করছে এবং তাকে একা থাকতে দিচ্ছে না। যেভাবে পুরুষ, নারী, ছেলেমেয়ে সবাই জড়ো হয়েছে তা দেখে যীশুর মমতোা হলো। তার মনে হলো তারা রাখালহীন মেষপাল।
শীঘ্রই লোকের সমাগমে পাহাড়ের পাদদেশ পূর্ণ হয়ে গেল, তারা আগ্রহের সঙ্গে যীশুর কথা শুনছে। কয়েক ঘন্টা পর শিষ্যরা দেখলেন যে সূর্য ডুবতে যাচ্ছে। এই লোকেরা বাড়ি থেকে অনেক দূরে চলে এসেছে।
শিষ্যরা যীশুকে বললেন, ‘প্রভু, লোকদের বিদায় দিন। একটু পরেই অন্ধকার হয়ে যাবে, সারাদিন তারা কিছুই খায়নি।’ যীশু জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এখানে কত লোক আছে?’ শিষ্যরা উত্তর দিলেন, ‘পাঁচ হাজার পুরুষ, তার সঙ্গে মহিলা এবং ছেলেমেয়েরাও আছে।’ যীশু তাদের বললেন, ‘তোমরা কেন তাদের খাবার দিচ্ছ না?’ তিনি ফিলিপের দিকে তাকালেন এবং বললেন, ‘আমরা এসব লোকদের জন্য কোথায় খাবার কিনতে পারি?’ ঠিক তখন আন্দ্রিয় আসলেন। তিনি বললেন, ‘এখানে একটি ছেলে আছে, যার কাছে পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ আছে। সে এগুলো আনন্দের সঙ্গে আপনাকে দেবে।’
তিনি জানতেন কী করতে হবে। তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন যে, সেই বালকের মাধ্যমেই একটি আশ্চর্য কাজ করবেন। তখন যীশু শিষ্যদের বললেন, ‘পঞ্চাশ, একশ করে লোকদের বসিয়ে দাও।’ লোকেরা দলে দলে শৃংঙ্খলার সঙ্গে ঘাসের উপর বসে পড়ল। তখন যীশু স্বর্গের দিকে হাত তুলে, সেই রুটি ও মাছ নিয়ে যীশু ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন। তারপর তিনি তা টুকরা টুকরা করলেন এবং শিষ্যদের দিলেন। তারা পালাক্রমে লোকদেরকে তা দিলেন। তারা সবাই পেট ভরে খেল। যীশু বললেন, ‘বেঁচে যাওয়া খাবারগুলো কুড়িয়ে রাখো, কোনো খাবার যেন নষ্ট না হয়।’
শিষ্যরা বাধ্য হলেন, তারা কুঁড়িয়ে বারো ঝুড়ি পূর্ণ করলেন। কি আশ্চর্য কাজ! অথচ তারা কেবল পাঁচটি রুটি ও দুটি মাছ দিয়ে তা শুরু করেছিলেন। যীশু কি আজও এ ধরনের আশ্চর্য কাজ করার পরিকল্পনা করেন? আপনার প্রতি কি তার দৃষ্টি আছে। আপনার যা আছে তা কি আপনি দেবেন, যাতে অন্যেরা দয়া পায়?