খ্রিস্টীয় ম-লীতে বিবাহ প্রস্তুতির গুরুত্ব
ড. ফাদার মিন্টু এল পালমা
‘তুমি যদি যুদ্ধে যাও একবার প্রার্থনা করো, তুমি যদি সমুদ্র যাত্রায় যাও দুবার প্রার্থনা করো আর তুমি যদি বিয়ে করতে যাও তিনবার প্রার্থনা করো’। এ থেকেই বোঝা যায়, বিবাহ এবং বিবাহিত জীবনের অবস্থা কি এবং এর জন্য প্রস্তুতির গুরুত্ব কতটুকু। বিবাহ হচ্ছে মানব ইতিহাসের এক আদি প্রতিষ্ঠান এবং মানব সমাজের প্রস্তর। খ্রিস্টীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবাহ মানুষের জীবনে ঈশ্বরের প্রথম এবং প্রধান আহ্বান। এটা একটা পবিত্র সংস্কার। বিবাহ মানবজীবনের এক জটিল বাস্তবতা কারণ বিবাহে স্বামী-স্ত্রীর জীবনের প্রতিটি অংশে জড়িয়ে আছে শারীরিক, আবেগিক, জৈবিক (যৌন সংক্রান্ত), সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং বিশ্বাস-আস্থা, প্রেম-ত্যাগের দুর্বল এবং সবল ইন্দ্রিয় এবং মনস্তাত্বিক অনুভূতিগুলো।
স্বামী-স্ত্রী হওয়া সহজ নয়। স্বামী-স্ত্রী হওয়া একটা আহ্বান। একজন যুবক এবং একজন যুবতীর স্বামী-স্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে এবক জীবনের সমাপ্তি ঘটে, শুরু হয় যৌথ জীবন। এ এক নতুন জীবন, এ এক নতুন পরিচয়, এ এক নতুন দায়িত্ব কর্তব্যের যাত্রা, যার অনেক কিছুই থেকে যায় অজানা-অচেনা। বিয়ের আগে তার ভাবনা, কল্পনা স্বপ্নের সঙ্গে বিয়ের পরের বাস্তব অবস্থা অনেক সময়ই যেন মিলে না। ফলে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। যুদ্ধ হয় শুরু। এ যুদ্ধ অনেকের জন্য পাশপাশি থেকে প্রতিদিনের বাস্তবতার অবাঞ্চিত অবস্থার বিরুদ্ধে না হয়ে, হয়ে যায় দুজনের মুখোমুখি যুদ্ধ। এখানেই ভয়, এখানেই সংকট, এখানেই সমস্যা।
অতীতে দাম্পত্য এবং পারিবারিক সমস্যা, ভাঙ্গন, বিচ্ছেদ ছিল খুবই কম এবং কদাচিৎ। কিন্তু বর্তমানে বিশেষ করে বিগত কয়েক দশক ধরে বৈবাহিক সমস্যা, ভাঙন এবং বিচ্ছেদ প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিশ্বজুড়ে দম্পতিগণ যেন তাদের বিবাহের পবিত্রতা এবং বিবাহের খ্রিস্টীয় অর্থ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বিবাহের সংস্করীয় মূল্যবোধের ক্ষেত্রে অবিশ্বস্ততা এবং অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা, যৌন জীবনে ন্যায়ভ্রষ্টতা, বিবাহ নামক স্থায়ী প্রতিষ্ঠানকে অস্বীকার করা এবং অনীহা প্রকাশ, গর্ভপাত, গর্ভনিরোধ মানসিকতা, বিবাহ বিচ্ছেদ সর্বোপরি মানসিক, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক জীবনে সংকট এবং পতিত অবস্থা বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
দাম্পত্য জীবনের এরূপ ভয়াবহ সমস্যা, ভাঙন, বিচ্ছেদ এবং ভবিষ্যতের আরও ভয়াবহ অবস্থা অনুধাবন করে পূণ্যপিতা পোপ দ্বিতীয় জন পল বলেন, আমাদের বর্তমান সময়ে যে প্রয়োজনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে তা হলোÑ বিবাহ এবং দাম্পত্য জীবনের জন্য যুবক-যুবতীদের বিবাহ পূর্ব যথাযোগ্য প্রস্তুতি।
ম-লীর ইাতহাসে বিবাহ প্রস্তুতির গুরুত্ব
ম-লীর শুরু থেকে বিবাহকে একটা সম্পূর্ণ জাগতিক ঝবপঁষধৎ ঘটনা হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এর জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন হতো তাও ছিল সম্পূর্ণ পারিবারিক পরিবেশে সামাজিক কৃষ্টি ও প্রথার ভিত্তিতে। ওই সময়কার বাস্তবতার আলোকে সাধু পৌল বিবাহ এবং বিবাহিত জীবনের দায়িত্ব কর্তব্য সম্বন্ধে (১ করি, ৭:১-১৬) এবং খ্রিস্টীয় বিবাহের প্রকৃত অর্থ এবং তাৎপর্য সম্বন্ধে (এফে. ৫:২১-৩২) খুব জোরালো এবং সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন যেন দাম্পত্য জীবনের পবিত্রতা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলতে পারেন।
দ্বিতীয় শতাব্দীতে সাধু পলিকার্প বিবাহ প্রার্থী/প্রার্থীদের উপদেশ দিয়েছেন যেন তারা বিবাহের পূর্বে বৈধ বিবাহে প্রবেশের জন্য বিশপ এর অনুমতি গ্রহণ করেন। তার কারণ হলো এই বিবাহ বন্ধন যেন প্রভুর কাছে গ্রহণীয় হয় (আদি ম-লীর পিতৃগণ)।
১২১৫ খ্রিস্টাব্দে চতুর্থ লেটারান মহাসভায় প্রথমবারের মতো বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রীর যোগ্যতা সম্বন্ধে তদন্ত এবং বান প্রকাশের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ডিক্রেটালস্ গ্রেগরি ১৫) এর তিনশত বছর পর কাউন্সিল অব ট্রেন্ট, ১৫৪৫ , ১৫৪৫ লেটারান কাউন্সিল এর সিদ্ধান্তগুলো নবায়ন করেন। কাউন্সিল এই ঘোষণা দেন যে, খ্রিস্টভক্তদের অবগতির জন্য পাল-পুরোহিত পাত্র-পাত্রীর বান লেখার পর তা পর পর তিনবার (তিন রবিবার) প্রকাশ করবেন এবং পাত্র-পাত্রীর আধ্যাত্মিক প্রস্তুতির জন্য অবশ্যই বিবাহের পূর্বে পাপ-স্বীকার সংস্কার গ্রহণ করবেন (ক্যানন অ্যান্ড ডিক্রিস অব দ্যা কাউন্সিল অব ট্রেন্ট)।
এরপর ১৭শ খ্রিস্টাব্দে বিবাহের ক্ষেত্রে ম-লীর আইনগত বিষয়গুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। বিশেষ করে বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রীর মধ্যে যেন বয়সের ক্ষেত্রে এবং রক্তের সম্পর্কে কোনোরূপ আইনগত বাধা না থাকে। পোপ চতুর্দশ বেনেডিক্ট বলেন, পাত্র-পাত্রীকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এবং গোপনীয়তা রক্ষা করে একান্ত ব্যক্তিগতভাবে যেন জিজ্ঞেন করা হয় বিবাহের পূর্বে ম-লীর বাইরে তাদের কোনো বিবাহ হয়েছে কিনা এবং প্রস্তাবিত বিবাহে তাদের পূর্ব সম্মতি আছে কিনা (নিমিয়্যাম লিসেনট্যিাম, ১৭৪৩)।
১৮শ শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ লিও বিশপদের এবং পুরেহিতদের অনুরোধ করেন যেন বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রীদের খ্রিস্টীয় বিবাহের গুরুত্ব এবং পবিত্রতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত এবং সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে ঘবঃরসঢ়বৎব নামে এক ডিক্রির মধ্য দিয়ে পোপ দশম পিউস বিবাহ প্রস্তুতির জন্য ধর্মপল্লীর পুরোহিতদের পূর্ণ দায়িত্ব প্রদান করেন।
বিগত শতাব্দীর পোপ মহোদয়গণ
বিগত শতাব্দীর প্রথম থেকেই বিশেষ করে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের পর থেকেই পৃথিবীর মূল্যবোধ পরিবর্তন হতে থাকে। বিবাহ বিচ্ছেদ এবং পারিবারিক জীবনে বিভিন্ন জটিল সমস্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তাই ম-লী বিবাহের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পাত্র-পাত্রীর বয়স, রক্তের সস্পর্ক এবং অন্যান্য আইনগত দিকের উপর নয় এছাড়াও বিবাহের এবং বিবাহিত জীবনের দৈহিক, মনস্তাত্বিক, নৈতিক, সামাজিক, যৌন সংক্রান্ত এবং আইনগত বিষয়গুলো প্রাক-বৈবাহিক শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর পারিবারিক জীবনের চরম দুর্দশা লক্ষ্য করে পোপ একাদশ পিউস বলেন, বিবাহ নামক এই পবিত্র প্রতিষ্ঠানকে এর সঠিক অর্থে এবং পথে পুনঃজাগরিত করতে এবং রক্ষা করতে হলে সর্বপ্রথম বিবাহ সম্পর্কে খ্রিস্টভক্তদের খ্রিস্টীয় মূল্যেবোধে আলোকিত করতে হবে। তিনি তার এনসেক্লিকাল ঈধংঃর ঈড়হহঁনর তে জোরের সঙ্গেই বিবাহ প্রস্তুতির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, যারা আধুনিক বৈষয়িক মূল্যবোধ দ্বারা পরিচালিত হয়ে অবিচক্ষণ এবং নীতিভ্রষ্ট হয়ে বিবাহের প্রকৃত মহাত্মকে অস্বীকার করে যাচ্ছেন এবং স্বেচ্ছাচারী এবং অবিশ্বস্ত জীবনযাপন করছেন। তাই বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে পোপ মহোদয় বিবাহের খ্রিস্টীয় মর্যাদা পর্ব পবিত্রতা পুনরুদ্ধারের জন্য বিবাহের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উল্লেখ করেনÑ
ক) বিবাহের জন্য শৈশবকালীন প্রস্তুতি, খ) বিবাহের জন্য নিকটবর্তীয় প্রস্তুতি, গ) বিবাহের জন্য তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি।
তিনি বলেন, বিবাহ প্রস্তুতি অবশ্যই বিবাহ অনুষ্ঠানের কেবলমাত্র মাস বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। পোপ দ্বাদশ পিউস প্রথম যুদ্ধোত্তর পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয় দেখে উদ্বিগ্নের সঙ্গে বলেন, সুস্থ দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করার জন্য বাল্য অবস্থা থেকেই ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শুদ্ধ চিন্তা ও ধর্মানুরাগ সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বিবাহ প্রস্তুতির জন্য যুবক-যুবতীদের প্রাক-বৈবাহিক শিক্ষা গ্রহণের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, কেউ হঠাৎ একজন ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বা উকিল হবার স্বপ্ন দেখে না সেই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য কোনোরূপ প্রস্তুতি ছাড়া বা শিক্ষানবিস না হয়ে। কিন্তু এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ভবিষ্যৎ দাম্পত্য জীবনে মূলকাঠি এবং পিতা-মাতা হয়ে দায়িত্বশীল কাজের জন্য যে সঠিক জ্ঞান এবং পর্যাপ্ত দিক নির্দেশনা এবং শিক্ষা প্রয়োজন তা ছাড়াই অনেক যুবক-যুবতী বিয়েতে প্রবেশ করে।
পোপ দ্বাদশ পিউস এর মতো পোপ ত্রয়োবিংশ যোহনও বিবাহের জন্য ছেলে-মেয়েদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তবে তিনি যুগের দাবি অনুসারে ম-লীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপদ্ধতি ছাড়াও বর্তমান যোগাযোগ মাধ্যমের নতুন এবং কার্যকরি শিক্ষাপদ্ধতি এবং উপায় বের করে তার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে যুবক-যুবতীদের বিশেষ করে বাগদত্ত-বাগদত্তাদের বিবাহপূর্ব প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা। খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের ভিত্তিকে শক্ত করার জন্য ধর্ম শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দেন। ভিটিকান মহাসভার দলিল এধঁফরঁস বঃ ঝঢ়বং (বর্তমান জগতের খ্রিস্টম-লী বিষয়ক পালকীয় সংবিধান) এ সম-সাময়িককালের স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের প্রকটতা লক্ষ্য করে এটাকে সামাজিকব্যাধি হিসেবে উল্লেখ করেন। পরবর্তীকালে ম-লীর আইন শাস্ত্র (বিধি ১০৬০-১০৭২) ১২টি অনুশাসনের মধ্য দিয়েও প্রাক-বিবাহ প্রস্তুতি এবং বিবাহোত্তর পালকীয় যতেœর উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে পূণ্যপিতা দ্বিতীয় জন পল ‘পন্টিফিকাল ফর দ্যা ফ্যামিলি’ নামক পালকীয় পত্রে বিবাহ প্রস্তুতির উপর সুপরিকল্পিত এঁরফবষরহবং প্রকাশ করেন। বিবাহ পূর্ব অর্থপূর্ণ প্রস্তুতির জন্য এই এঁরফবষরহবং টি সাম্প্রতিককালের একেকটি অনবদ্য পদক্ষেপ। বিবাহ প্রস্তুতির এই পালকীয় এঁরফবষরহবং (নিদের্শনাবলী) টি বিবাহ, পরিবার এবং সমাজকে রক্ষা করার জন্য পালকীয় পরিকল্পনায় বিবাহ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। এখানে বিবাহ প্রস্তুতি পূর্বে কয়েকটি মৌলিক বিষয় এবং উদ্দেশ্য তুলে ধরেছেনÑ
জীবনাহ্বান সম্বন্ধে যুবক-যুবতীদের মধ্যে সঠিক উপলদ্ধি সৃষ্টি, জীবনে খ্রিস্টীয় বিশ্বাসের গভীরতা এবং পরিপক্কতা মূল্যায়ন এবং সঠিক গঠন, পবিত্র সাক্রামেন্তগুলোর গুরুত্ব এবং এগুলো সম্বন্ধে পূর্ণ ধারণা লাভ, মানবীয় এবং খ্রিস্টীয় গুণ এবং মূল্যবোধ সন্বন্ধে চেতনা, সঠিক যৌন শিক্ষা এবং সুস্থ যৌন জীবন এবং যৌন সম্পর্ক সম্বন্ধে শিক্ষা, নৈতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ এর চেতনা, সুস্থ এবং সঠিক বিবেক গঠন এর উপর গুরুত্ব, নারী পুরুষের ব্যক্তিক (দৈহিক, মনস্তাত্বিক), স্বাতান্তিকতা, সম্পূরকতা এবং পার্থক্য সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান।
ঈড়ঁৎঃংযরঢ় এর সঠিক অর্থ এবং ব্যবহার অর্থাৎ যুবক-যুবতীদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক, একে-অন্যেকে সঠিকভাবে চেনা-জানা-বোঝা এবং ভালোবাসার সম্পর্কে সঠিক ব্যবহার। বাগদানের অর্থ এবং বিবাহের লক্ষ্যে বাগদত্তা এবং বাগদত্তা হিসেবে এই সময়টার গুরুত্ব। বিবাহের আহ্বান, খ্রিস্টীয় বিবাহের অর্থ, পবিত্রতা, বিশ্বস্ততা, একতা, অবিচ্ছেদ্যতা সম্বন্ধে সচেতনতা। দাম্পত্য ভালোবাসা ত্যাগ এবং দাম্পত্য সম্পর্কে বাস্তব এবং মৌলিক বিষয়গুলো আলোচনা। সন্তান জন্মদানের অর্থ এবং পরিকল্পনা সম্বন্ধে সচেতনতা।
চৎড়-ষরভব এবং অহঃর-ধনড়ৎঃরড়হ অর্থাৎ জীবন সম্বন্ধে শ্রদ্ধা এবং যতেœর বিষয়ে চেতনা। পরিবার পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ (প্রাকৃতিক, কৃত্রিম) অর্থনৈতিক, শিক্ষা, পেশা, সম্পর্ক, সন্তান। সন্তানের সঠিক গঠন এবং তাদের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। পারিবারিক, মানবীয়, খ্রিস্টীয়, আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ এবং জীবন।
লেখক: আন্তঃমা-লীক ট্রাইব্যুনাল ঢাকা এর জুডিসিয়াল ভিকার এবং ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের খ্রিস্টীয় পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রের পরিচালক।