তাহেরপুরে অপহৃত স্কুল ছাত্রীর বিয়ে নিয়ে ধুম্রজাল
মহিব্বুল আরেফিন, রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়া অপহৃত স্কুলছাত্রীর ঘটনা নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনা নিয়ে ছাত্রীর অভিভাবকরাও কথা বলতে নারাজ। তবে ছাত্রীটির পরিবারের দাবি যুবলীগ নেতা সোহেল রানা উগ্র মেজাজের। তার সঙ্গে বিয়ে হয়নি। এখন স্কুলছাত্রী বাবার কাছে অবস্থান করছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাহেরপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নুরপুর মহল্লা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা অপ্রাপ্ত বয়সের ওই স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে বাড়ি থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ উঠে। স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, ‘আমার মেয়ে জামগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। তা প্রত্যাখ্যান করায় শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহেল রানার নেতৃত্বে যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মেয়েকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।’ পরে শুক্রবার রাতেই মেয়র আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে মেয়েটিকে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সোহেলের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরে মেয়েটি সোহেলের সঙ্গে চলে আসে। পরে উভয়ে আমার বাড়িতে আসে। মেয়ের বয়স না হওয়ার কারণে ওসি তলব করে মেয়েটিকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করি। এ সময় পৌরসভার প্যাডে মেয়েটিকে যে সুস্থ স্বাভাবিকভাবে ফেরত পেল এ ব্যাপারে লিখিত স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়। আর আমার দলের প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি গুলি ফোটানোর নামে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটির ভাই গাজীপুরে জেটিআই প্রোডাক্সে কর্মরত অডিট অফিসার জহুরুল ইসলাম বলেন, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা উগ্র মেজাজের। আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তার সঙ্গে বিয়ে হয়নি। থানায় মামলাও করিনি। এসব করে ফলাফল শূন্য। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে আমি বাড়িতেও যেতে পারছি না। বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে তাই বাড়ির লোকজনও বাড়িতে আসতে দিচ্ছে না। আমরা যেন নিরূপায়-অসহায়।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি সেলিম হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি।
মেয়েটিকে অপহরণের সময় গুলি ছোড়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। সম্পাদনা: আনোয়ার