সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতির খবর অস্বীকার করল মিসর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একটি আরবি দৈনিক সিরিয়ায় মিসরের সেনা উপস্থিতির যে খবর দিয়েছিল তা অস্বীকার করেছে মিসর। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘এ ধরনের কাজ যারা করে এটি তাদের কল্পনাশক্তির বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছু নয়।’ পার্সটুডে
গত ২৪ নভেম্বর লেবাননের আস-সাফির পত্রিকা ‘ওয়াকিবহাল আরব সূত্রের’ বরাত দিয়ে জানায়, সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় হামা শহরের একটি বিমান ঘাঁটিতে ১২ নভেম্বর একদল পাইলট পাঠিয়েছে মিসর। পত্রিকাটি আরো জানায়, গত মাস থেকে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সশস্ত্র বাহিনীর সদরদপ্তরে মিসরের দু’জন মেজর জেনারেল কাজ করছেন। তারা দু’জন নিয়মিত সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সংঘর্ষপীড়িত শহর কুনেইত্রাসহ বিভিন্ন ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করেন বলেও খবরে দাবি করা হয়।
লেবাননের পত্রিকাটি দাবি করে, ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসের শেষদিকে সিরিয়ায় বড় সংখ্যায় সেনা পাঠাবে মিসর।
মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আস-সিসি সম্প্রতি সিরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে বলেছিলেন, এ বাহিনী সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে। সিরিয়ায় তৎপর তাকফিরি জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক সৌদি আরবসহ আরো কিছু দেশ সিসির এ বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এর আগে সিরিয়ার ন্যাশনাল সিক্যুরিটি ব্যুরোর প্রধান মেজর জেনারেল আলী মামলুক গতমাসে কায়রো সফর করেন। সেখানে তিনি মিসরের উচ্চপদস্থ সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব সাক্ষাতে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয় দু’দেশ।
তারও এক মাস আগে মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি জানিয়েছিলেন, সিরিয়ার চলমান সংকটের ব্যাপারে কায়রো ও রিয়াদ অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে না। মস্কোর সঙ্গে কায়রোর সম্পর্ক জোরদার এবং মিসরের পক্ষ থেকে ইয়েমেনে সেনা পাঠানোর সৌদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের ঘটনায় সৌদি আরব ও মিসরের সম্পর্কে শীতল অবস্থা বিরাজ করছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ