নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ‘শামীম-আইভী’ সম্পর্ক এখনো অস্পষ্ট নিরব তৈমুর আলম খন্দকার
হাসান আরিফ, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এখনো নিশ্চিত নন শামীম ওসমান তার পক্ষে কাজ করবেন কি না। এদিকে দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষেও সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে। ফলে উভয় প্রার্থীই নিজস্ব কৌশলে কাজ করে যাচ্ছেন।
আগামী ৫ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচার কার্যক্রম শুরু হবে। তখনই বুঝা যাবে নিরব থাকা নেতারা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কি ভূমিকা নেন। উভয় প্রার্থীর পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হলে কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিকভাবে নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচার চালাবেন। রোববার জেলা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে তৈমুর আলম খন্দকারকে দেখা যায়নি। একই ভাবে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন না নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান। এবিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন আইভী। এ বিষয়ে শামীম ওসমান বলেছেন, আইভী আমার ছোট বোন তাই সে ডাকুক আর নাই ডাকুক, আমাকে যতই অসম্মানিত করুক না কেন, নেত্রীর সম্মানে তার পক্ষেই কাজ করে যাব। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নাই।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় আইভীর সঙ্গে না থাকা বিষয়ে শামীম ওসমান বলেছেন ও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় আমাদের ডাকেননি। তিনি আমাদের সম্মানিত করতে না পারেন, কিন্তু অপমান করতে পারেন না। তাকে এসএমএসও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে কোনো সাড়া দেয়নি। পরে জানতে পারি সে মনোনয়ন জমা দিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে আইভী একেবারে চুপ হয়ে আছেন। তিনি গণমাধ্যমের কাছে কোনো কথা বলছেন না। তবে তার নির্বাচনের সক্রিয় সদস্য রফিউর রাব্বি এ বিষয়ে বলেছেন, ওসমান পরিবার কখনই চায় না আইভী নির্বাচিত হউক। তাই এই পরিবার প্রকাশ্যে আইভীর পক্ষে থাকলেও বাস্তবতা হচ্ছে তারা তার বিরোধিতাই করবে।
বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, এখন তো প্রচারণা করলে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে তাই আমরা দলীয় কার্যালয়ে ঘরোয়াভাবে আলোচনা করছি। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, ৫ ডিসেম্বরের পর দলীয় প্রতীক নিশ্চিত হলে আমাদের সকল নেতাকর্মী যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনি প্রচারণায় মাঠে নামবে। এদিকে আইভীও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আইভী সমর্থকরা বলছেন, তিনি নিরবে নির্বাচনের ছক কষছেন। সবকিছু বিবেচনা করে তিনি সাবধানে পা ফেলছেন। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন