বর্ষবরণের ভিড়ে তরুণীদের শ্লীলতাহানি ২০ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য, ১১ বার সময় নিলো পিবিআই
আজাদ হোসেন সুমন: বর্ষবরণে যৌনহয়রানি মামলাটির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকালও নির্ধারিত দিনে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশের নতুন তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা এ নিয়ে ১১বারের মতো প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় নিলো।
জানা গেছে, সোমবার মামলাটিতে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশের নতুন তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ২০ ডিসেম্বর পরবর্তী প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন। সূত্র জানায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পুনরায় তদন্তের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পয়লা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন তরুণীকে যৌন হয়রানির এই মামলায় আট আসামিকে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তাদের ধরিয়ে দিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আসামিদের নাম-ঠিকানা না পাওয়ার অজুহাতে ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনও গ্রহণ করে ট্রাইব্যুনাল। পরে সনাক্তকৃত আসামিদের মধ্যে মো. কামাল গ্রেফতার হলে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন করা হয়। নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েকজন তরুণীকে টানাহেঁচড়া করা হয়। যৌন হয়রানির শিকার কেউ মামলা না করায় পুলিশ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করে। তদন্তকালে মামলার ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও সাক্ষীদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আট জনকে শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত আট আসামির ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইলেকট্রনিক ও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আসামিদের গ্রেফতার এবং ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ আশপাশের এলাকায় পর্যন্ত ভিড় ছিল। এই ভিড়ের মধ্যে সংঘবদ্ধ একদল বখাটে ঘটনাস্থলে কয়েকজন নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। নারী লাঞ্ছনাকারীরা ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন নারীর শাড়ি ধরে টান দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রথমে ডিএমপি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। ইতোমধ্যে তদন্তভার পিবিআইর উপর অর্পণ করা হয়েছে। মামলা তদন্তে প্রয়োজনীয় তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম