বাংলাদেশসহ সিভিএফভুক্ত ৪৬টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসছে
আবদুল্লাহ তারেক: জীবাশ্ম জ্বালানি ছেড়ে সরাসরি সবুজ শক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) অন্তর্ভুক্ত ৪৬টি দেশ। দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরক্কোর মারাকাশে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে এই মাসের শুরুতেই এ নিয়ে আলোচনায় বসেছিলো দেশগুলো।
২০১৫ সালের প্যারিস সম্মেলনে সম্মত হওয়া প্রতিটি দেশে কিভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে আনা যায় মূলত তা আলেচনা করা হয়েছিলো এই সম্মেলনে। কয়লাভিত্তিক অর্থনীতিকে কিভাবে সবুজায়নে রূপান্তর করা যায় সেদিকে দৃষ্টি দিচ্ছে শিল্পোন্নত দেশগুলো। কিন্তু যে সকল দেশ এখনো পুরোপুরি উন্নত হয়নি তাদের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।
সিভিএফ’র অনেক সদস্য দেশ এখনো দরিদ্র এবং তারাই জলবায়ু সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ঝঁকিপূর্ণ দেশ। সিভিএফ’র সদস্য দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভুটান, আফগানিস্তান, বুরকিনা ফাসো, বারবাডোজ, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, ফিজি, ঘানা, কলাম্বিয়া, গুয়েতেমালা, গ্রানাডা, হাইতি, লেবানন, হন্ডুরাস, ডমিনিকান রিপাবলিক, সেন্ট লুসিয়া, কমোরোস ও মরক্কোসহ আরও কিছু দেশ ।
এসকল দেশের অর্থনীতিকে ‘লিপ ফ্রগিং’ নামে উল্লেখ করেছে সাইন্স অ্যালার্ট। এ ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশসমূহ ইতোমধ্যেই এই লিপ ফ্রগিং পর্যায় পার করে এসেছে।
সিভিএফ’র উদ্দেশ্য হলো, জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা। আর এর নাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য মারাকেছ ভিশন’। এর লক্ষ্য হলো- প্রতিটি দেশের অবস্থা বিবেচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শতভাগ আভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জা¡লানি উৎপাদন করা, যেখানে জ্বালানি ঘাটতি দূর করে পানি রক্ষা করা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
আর এর ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন করা হবে ২০২০ সালে। সূত্র : ডেইলি মিরর।
সম্পাদনা: পরাগ মাঝি