বরিশালকে হারিয়ে দিল মাশরাফির কুমিল্লা
এল আর বাদল: চট্টগ্রাম পর্বে রাজশাহীকে ৩২ রানে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথম জয় পেলেও গতকাল একটি চ্যাম্পিয়ন দলের মতো খেলেছে বরিশাল বুলসের বিরুদ্ধে। বিপিএলের চলতি আসরে বুলসকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় সান্ত¡নার জয় পেয়েছে মাশরাফিবাহিনী। আন্তর্জাতিক তারকা শেহজাদ, স্যামুয়েলস ও খালিদ লতিফদের সঙ্গে মাশরাফি-ইমরুল কায়েস ও লিটন দাসদের মতো জাতীয় পর্যায়ের নায়কদের নিয়ে খেলেও ধারাবাহিক ম্যাচ হেরেছে কুমিল্লা। অথচ বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স রানার্সআপ বরিশাল বুলসের বিরুদ্ধে জয়ের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামে। শেষ পর্যন্ত ফেভারিটের মতোই বরিশালকে হারিয়েছে মাশরাফিবাহিনী।
প্রথমে ব্যাটিং করে ১৪২ রান করে বরিশাল। এই আসরের নিরিখে বরিশালের এই সংগ্রহটাকে বেশ বড়ই বলতে হবে। কারণ গত সোমবার রাজশাহীর করা ১২৮ রান পার করতে পারেনি রংপুর। তাই জয়ের জন্য ১৪২ রানকে যথেষ্টই বলতে হয়। তবে কুমিল্লার আহমেদ শেহজাদ ও ইমরুল কায়েসদের ব্যাট যেদিন চলে সেদিন কোনো রানকেই যথেষ্ট বলা যায় না। গতকাল সেটাই হলো। উদ্বোধনী জুটিতে ৯৩ রান তুলে ম্যাচটাকে ‘পানসে’ করে দিলেন ইমরুল ও শেহজাদ। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে ইমরুল আউট হলেও শেহজাদের মন কিন্তু ভরেনি। হাফ সেঞ্চুরি তো করেছেনই সাথে দলকেও জিতিয়ে দিলেন এই পাক ব্যাটসম্যান। ৬৩ রান করে মুশফিকের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেও ততক্ষণে প্রায় জিতে গেছে কুমিল্লা। শেষ পর্যন্ত এক ওভার হাতে রেখেই বরিশালের ১৪২ রান টপকে যায় মাশরাফিরা। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লার স্পিনারদের তোপে পড়ে ৯২ রানে সাত উইকেট হারায় বরিশাল। শেষের দিক তাইজুল, আবু হায়দার রনি আর এনামুল হক মিলে বরিশালের স্কোরটাকে টেনে ১৪২ পর্যন্ত নিয়ে যান।
এদিকে এখনো মাশরাফিদের তিনটি ম্যাচ বাকি। তাদের শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেছে। তবে মাশরাফিদের সুযোগ আছে প্রতিপক্ষের হিসাবটা কঠিন করে দেওয়ার।