বৌদ্ধ-মুসলমান সম্পর্ক উন্নয়ন চেষ্টায় মিয়ানমারে কফি আনান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ এবং সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাতে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান এখন মিয়ানমারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের নতুন সরকার রোহিঙ্গা সম্পর্কিত যে নতুন কমিশন গঠন করেছে সেটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কফি আনান। তিনি তার এ সফরে এই কমিশনের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের সাবেক এ মহাসচিব এমন এক সময়ে মিয়ানমার সফর করছে যখন দেশটিতে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের কারণে হাজার-হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের ঘর-বাড়ি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
রাখাইন রাজ্যে সংঘাত কিভাবে বন্ধ করা যায় এবং সংখ্যা গরিষ্ঠ বৌদ্ধ ও সংখ্যালঘু মুসলমানদের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার সরকারকে পরামর্শ দেবেন কফি আনান। মূলত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির আগ্রহে আনানকে এই কমিশনের প্রধান করা হয়েছে।
কফি আনান তার কাজে কতটা সফল হবেন সেটি নিয়ে এরই মধ্যে অনেকের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা আনানের নেতৃত্বে কমিশনকে পছন্দ করছে না। তারা এর আগে এই কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদও জানিয়েছিল।
প্রায় চারমাস আগে আনানকে এই কমিশনের প্রধান করা হলেও তার কিছুদিন পরেই রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সংঘাতের শুরু হয়। রোহিঙ্গা মুসলমানদের অভিযোগ এবারের দমন-পীড়ন অতীতের যে কোন মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার ও নিপীড়নের অভিযোগ স্বত্বেও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নীরবতার কারণে অনেকে তার সমালোচনা করছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ