ভল্ট পরিদর্শনে শুল্ক বিভাগ যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকে
শারমিন আজাদ: পাচার হওয়ার সময় জব্দ করা স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জমা থাকে। সেখানে জমা দেয় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গত কয়েক বছরে জমা দেওয়া স্বর্ণ ও বিদেশি মুদ্রার বর্তমান অবস্থা জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শনে যাচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
গত সপ্তাহে ভল্ট পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠির জবাব দেওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া সময় অনুযায়ী গোয়েন্দাদের একটি প্রতিনিধি দল ভল্ট পরিদর্শনে যাবে বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্র। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভংকর সাহা বলেছেন, গভর্নরের কাছে এ বিষয়ে কোনো চিঠি এখনো আসেনি। চিঠি আসলে তিনি এ বিষয়ে জানাতে পারবেন। তবে সে চিঠি হয়তো মতিঝিল অফিসে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র থেকে জানা গেছে, ১৮ ক্যারেটের যেসব স্বর্ণালঙ্কার জব্দ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পাঠানো হয় তা বিভিন্ন সময় সরকারি অনুমতিক্রমে বিক্রি করা হয়। কিন্তু ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের যে বারগুলো জব্দ করা হয়, তা কখনোই বিক্রি করা হয় না। এছাড়া যেসব বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়, সেগুলোও কখনো বিক্রি বা বদল করা হয় না। এসব মুদ্রা স্মারক নাম্বারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে পাঠানো হয়। এসব স্বর্ণ ও মুদ্রার প্রকৃত অবস্থা কী, তা জানতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট পরিদর্শনের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বর্তমান অবস্থা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু