কলকাতায় শিশুপাচারে জড়িত দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিশুপাচার চক্রের তদন্তে নেমে একই দিনে গ্রেপ্তার করা হলো দুই চিকিৎসককে। কলকাতার দুই নামী চিকিৎসক শিশু পাচার চক্রে গ্রেপ্তার হওয়ায় চিকিৎসক মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেবা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে শিশু পাচার চক্রের পিছনে যে আরও অনেক নামী চিকিৎসকের যোগসোজোশ রয়েছে, তা ক্রমেই প্রকট হয়ে উঠছে। শিশু পাচার কা-ে এই নিয়ে দশদিনে ২০ জনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। হিন্দুস্তান টাইমস
সিআইডি মঙ্গলবার রাতেই দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার করে। ধৃত দুই চিকিৎসক হলেন দিলীপ ঘোষ ও নিত্যানন্দ বিশ্বাস। প্রথমজন সল্টলেকের বাসিন্দা। গতকালই তাকে সল্টলেকের সিআইডি দফতের নিয়ে গিয়ে ম্যারাথন জেরা করা হয়। আজও ফের তাকে তলব করা হয়েছিল তাকে।তবে তার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক শিশু বিশেষজ্ঞদের নাম উঠে এসেছে বলে সিআইডি-র দাবি। ধৃত চিকিৎসক সল্টলেকের বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত। বিধাননগর পুর নির্বাচনেও তিনি বিজেপি-র প্রার্থীও হয়েছিলেন। কলেজ স্ট্রিটের শ্রীকৃষ্ণ নার্সিংহোমের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। এই নার্সিংহোমের নাম প্রকাশ্যে আসে বাদুড়িয়া কা-ের পরই। এই নার্সিংহোমের মালিককে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাদুড়িয়ার নার্সিংহোমের আড়ালে শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে ধৃত চিকিৎসকের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। আগেই বাদুড়িয়ার সোহান নার্সিংহোমের চিকিৎসক তপন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি।একইদিনে বেহালার পর্ণশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাসকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে এক শিশুকে মৃত বলে প্রচার করে পরে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। ওই শিশুর বাবা-মা এতদিন পরে সিআইডি-র দ্বারস্থ হন।সিআইডি তপন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করার পরই ওই দম্পতি সিআইডিকে জানান, মছলন্দপুরের একটি নার্সিংহোমে তাদের সন্তান জন্ম নিয়েছিল। তপন বিশ্বাস তখন জানান, শিশুটির হার্টে একটি ফুটো রয়েছে, তাকে কলকাতায় পাঠাতে হবে। সেইমতো চিকিৎসক নিত্যানন্দ বিশ্বাসের চিকিৎসাধীন ছিল শিশুটি।ক’দিন পরে জানানো হয় ওই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। সিআইডি বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই দম্পতির শিশু মারা যাননি। শিশুকে মৃত বলে বাবা-মাকে জানিয়ে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল অন্যত্র। তারপরই নিত্যানন্দবাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসা করে আরও কয়েকজন নামী চিকিৎকের নাম জানতে পেরেছে সিআইডি। জেলার অনেক নার্সিংহোমের নামই উঠে এসেছে এই সন্দেহের তালিকায়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ