মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের শুরুতেই এতো ভোগান্তি
সাইদ রিপন : মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তার সরাতে রাস্তা খোঁড়ায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছে মিরপুর বাসিন্দারা। ছোট হয়ে আসা রাস্তায় কষ্টের শেষ নেই প্রতিদিনের যাতায়াতে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হলে এই সড়কের পরিস্থিতি কী হবে, তা ভেবে আঁতকে উঠছেন ভুক্তভোগীরা। জনদুর্ভোগ কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাতে কাজ করার কথা জানালেও দুর্ভোগ না কমায় এলাকা ছাড়ার কথাও ভাবছেন কেউ কেউ।
সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের জুন থেকে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে এ বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে প্রকল্প এলাকায় থাকা বিভিন্ন সেবাসংস্থার অবকাঠামো সরানোর কাজ।
ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক সঞ্চালন তার প্রতিস্থাপনের জন্য এরই মধ্যে বেগম রোকেয়া সরণীর তালতলা থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত সড়কের একপাশ খুঁড়ে ফেলা হয়েছে। তিন লেনের মাঝের একটি লেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড দিয়ে।
দুই পাশের লেন দিয়ে বিপুল সংখ্যক গাড়িকে ধীরে ধীরে চলতে হওয়ায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল তৈরি হচ্ছে যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অফিসগামী যাত্রীদের। সুমন নামে একজন বলেন, প্রতিদিন এ ভোগান্তি পেরিয়ে তাকে যেতে হয় গুলশানে তার অফিসে। গতকাল যানজটের কারণে কাজ বাদ দিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন কাজীপাড়ার আরেক বাসিন্দা জান্নাতুল ফেরদৌস। মেট্রোরেলের কাজ পুরোদমে শুরু হলে এ পথের ভোগান্তি আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন আবদুল্লাহপুর-মোহাম্মদপুর রুটের যাত্রীরা।
মিরপুরের বাসিন্দা ডা. সেলিম মিয়া বলেন, বিদ্যুতের লাইন সরানোর জন্য একটু খুঁড়েছে। তাতেই এ অবস্থা। ভোগান্তি তো মাত্র শুরু। মেট্রোরেলের কাজ ধরলে এই রাস্তাও মগবাজার-মালিবাগের মত হয়ে যাবে। অবশ্য তালতলা বাসস্ট্যান্ডের চা দোকানদার শহীদুল ইসলাম মনে করেন, যানজটের জন্য বাস চালকরাও দায়ী। তিনি বলেন, হ্যারা যাত্রী দেখলেই ব্রেক কইরা দেয়। আস্তে আস্তে যাত্রী নিতে নিতে যায়। এই কারণে পিছনের গাড়ি আটকাইয়া জ্যাম লাইগ্যা যায়। ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের পরিচালক মো. মোফাজ্জেল হোসেন জানালেন, জনগণের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে রাস্তার নিচের তার সরানোর কাজ তারা রাতে সারছেন। আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১০ নম্বর পর্যন্ত এমআরটির লাইন-৬ এর অ্যালাইনমেন্ট বরাবর থাকা ১৩২ কেভি ভূগর্ভস্থ কেবল সরানোর কাজ চলছে এখন। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ কাজটি করছে।সম্পাদনা: সাইদ রিপন