এশিয়ান টেনিসের ফাইনালে বাংলাদেশের জুয়েল রানা
এল আর বাদল : বাংলাদেশের জুয়েল রানা এশিয়ান অনূর্ধ-১৪ সিরিজ টেনিসে বালক এককের ফাইনালে উঠেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার শীর্ষ বাছাইয়ে তিনি হারিয়েছেন ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী লেস্টন ভাসকে।
রমনা টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে জুয়েল রানা ৬-০ ও ৬-১ গেমে হারান ভাসকে। এদিকে অন্য সেমিফাইনালে লাওসের ফাঠিকন কানিয়াফান ৬-৪ ও ৬-১ গেমে হারিয়েছেন বাংলাদেশের সৈকত শাহরিয়ারকে। সেই সুবাদে ফাইনালে জুয়েলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকবেন লাওসের এই প্রতিযোগী।
অপরদিকে বালিকা এককের সেমিফাইনালে কোরিয়ার বোইয়ং জেং ৬-৩ ও ৬-২ গেমে স্বদেশি হা ইং রাইউ কে এবং কোরিয়ার আরেক প্রতিযোগী হাইরিম জাং ৬-২ ও ৬-০ গেমে ফিলিপাইনের রেনী ম্যারী আচেনাকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছেন। আজ শুক্রবার একই ভেন্যুতে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে উভয় ইভেন্টের ফাইনাল। সম্পাদনা : মাহমুদুল আলম
২ হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে প্রথম বিআরটি নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর
আনিসুর রহমান তপন: মহানগরীর যানজট নিরসনে বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর রুটে দেশের প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
গতকাল বৃহস্পতিবার হোটেল সোনার গাঁওয়ে ‘গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক একিউএম একরামউল্লাহ ও গেজহুবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াং রোমেন নিজ নিজ পক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক এমপি, রাসেলসহ এরপর পৃষ্ঠা ২, কলাম
(প্রথম পৃষ্ঠার পর) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৮৫৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এতে ১৬ কিলোমিটার বিআরটি লাইন, ৩২ কিলোমিটার ফুটপাত ও ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লাইন নির্মাণ করা হবে।
আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি চালু হলে, উভয় দিক থেকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক একিউএম একরামউল্লাহ।
প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। এর মধ্যে উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লাইন থাকবে। বাকি ১৬ কিলোমিটার থাকবে সমতলে। এতে থাকবে ছয়টি ফ্লাইওভার।
দুই প্রান্ত গাজীপুর ও বিমানবন্দরে থাকবে দুটি টার্মিনালসহ বিভিন্নস্থানে থাকবে ২৫টি স্টেশন। প্রতি দুই থেকে ৫ মিনিট পরপর স্টেশন থেকে বাস ছাড়বে। এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৫০ মিনিট। ১৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল করবে এ পথে আর ভাড়া আদায় করা হবে ইলেক্ট্রনিক স্মার্টকার্ড দিয়ে।
প্রকল্পে মূল অংশ নির্মাণের পাশাপাশি কিছু সড়ক প্রশস্তকরণ, সার্ভিস সড়কসহ ও গাজীপুরে তিন কিলোমিটার ড্রেনেজ নির্মাণ, আট লেইনের টঙ্গী সেতু ও ফ্লাইওভার নির্মাণের খরচ মিলিয়ে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
সরকারের পাশাপাশি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ফরাসি দাতা সংস্থা (এএফডি) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) প্রকল্পে অর্থায়ন করছে। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু