রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সীমান্তে ক্ষতির মুখে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা
আবদুল্লাহ তারেক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে গত কয়েক দিন ধরে সব কার্যক্রম প্রায় বন্ধই রয়েছে। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের অন্যতম বাণিজ্যিক অঞ্চল মংড়–র ব্যবসায়ীদের।
গত ৯ অক্টোবরে মংড়–তে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে সীমান্তে সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে নেই বাঁশ রপ্তানিও। এতে করে লাখ লাখ কায়াতস (মিয়ানমারের মুদ্রা) ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বণিকদের।
মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিন পরই মৎস্য মৌসুম। চিংড়ি রপ্তানি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যার ফলে আরও বেশি লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের।
রাখাইন রাজ্যের প্রধান ও অন্যতম দুটি বাণিজ্যিক অঞ্চল মংড়– ও সিটওয়ে। মংড়– থেকে মূলত লোনা পানির চিংড়ি, শুঁটকি এবং বাঁশ রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশে। রোহিঙ্গা নির্যাতন ও জরুরি অবস্থার কারণে যা এখন বন্ধ রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে মংড়–র রপ্তানি আয় ধরা হয়েছিল ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর চলতি বছর নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় ৩.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, গত ৯ অক্টোবরে শতাধিক বন্দুকধারী হামলা করে সীমান্তবর্তী মংড়– অঞ্চলে। ওই হামলায় ৫ মিয়ানমার সৈন্য ছাড়াও নিহত হয় আরও ৮ পুলিশ সদস্য। এতে মিয়ানমার সৈন্যদের পাল্টা অভিযানে ২ মহিলাসহ নিহত হয় ৩০ হামলাকারী। পুলিশের হাতে আটক হয় আরও ১২ জন। এই হামলার পর সীমান্তের আরও তিনটি স্থানে হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
হামলার পর দিন থেকেই মংড়–তে সকাল-সন্ধ্যা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। যার ফলেই সীমান্তে মিয়ানমারের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে মিয়ানমারকেই ব্যবসায়িক ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। সিনহুয়া। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি