ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সি আটকাতে দল পাকাচ্ছে ইলেক্টোরাল ভোটাররা
পরাগ মাঝি: বলা যায় রুদ্ধশ্বাস দিন কাটছে আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির ২০ তারিখে তিনি হোয়াইট হাউসে অবস্থান করবেন। কিন্তু তার আগেই একের পর এক বাধা আসতে শুরু করেছে। উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়ায় ভোট পুনঃগণনায় ফলাফল উল্টো হলে ট্রাম্পের হাতের মুঠো থেকে চলে যেতে পারে হোয়াইট হাউস। তবে, সর্বশেষ যে খবরটি তার জন্য বিপজ্জনক তা হলো- ইলেক্টোরাল ভোটাররাও নাকি তার বিরুদ্ধে দল পাকাচ্ছে। কারণ প্রেসিডেন্ট হতে হলে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটারদেরও সমর্থন লাগবে ট্রাম্পের।
জানা গেছে, কলোরাডোর ইলেক্টোরাল ভোটাররা ইতোমধ্যেই একটি রাজনৈতিক অলাভজনক দল গঠন করছেন। তাদের লক্ষ্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করা।
ডেনভার পোস্টের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ডেমোক্রেটিক ইলেক্টর মিচেল ব্যাকা মঙ্গলবার কলোরাডোর সেক্রেটারি অব স্টেট বরাবর ‘হ্যামিল্টন ইলেক্টরস’ নামে একটি গ্রুপের কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এই দলটি রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সংগঠনগুলো থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে সক্ষম।
এই গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য হলো- তারা রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেটিক ইলেক্টোরাল ভোটারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য।
ডেনভার পোস্টকে ব্যাকা বলেন, ‘প্রথমদিকে তহবিল সংগ্রহে আমি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে সাধারণ মানুষরাই আমাদের প্রচুর পরিমাণে অনুদান দিতে শুরু করে।’
ব্যাকা বলেন, ‘কিছু ডেমোক্রেটিক এবং অন্তত একজন রিপাবলিকান ইলেক্টোরাল ভোটার এই ম্যুভমেন্টে সারা দিয়েছেন। এছাড়াও এই দলটি আরও চারজন রিপাবলিকান ইলেক্টোরালের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যাপারটি কঠিন যদিও, কিন্তু ২৯ রাজ্যে আইন প্রচলিত আছে যে সাধারণ মানুষ যাকে ভোট দিয়েছে, ইলেক্টোরাল ভোটাররা তার বিপরীতে ভোট দিতে পারবে।’
প্রকৃতপক্ষে ব্যাপারটি কঠিন মনে হলেও এই মুভমেন্টের সফলতা আসবে বলে মনে করছেন ব্যাকা। দ্য হিল। সম্পাদনা: লিহান লিমা