ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সবাই কেউ মিলিওনিয়ার কেউ বিলিওনিয়ার
লিহান লিমা: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই তার মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন। এই পর্যন্ত তিনি যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা সবাই মিলিওনিয়ার ও বিলিওনিয়ার।
বুধবার ট্রাম্প ‘গোল্ডম্যান স্যাক’র সাবেক নির্বাহী ও তার নির্বাচনি প্রচারণার অর্থায়নের প্রধান স্টেভ মানুচিনকে কোষাগার মন্ত্রী ও ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারী উইলবুর রোজকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন।
ফোবর্স ম্যাগাজিন জানায়, রোজের ব্যক্তিগত সম্পদ ২.৯ বিলিয়ন ডলার ও তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ২৩২তম ধনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শিকাগো ক্লাবের মালিক ও আমেরিকার ৬৬তম ধনী টোড রিকেটস’কে সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন টম প্রিস’কে, একজন অর্থোপেডিক সার্জন থেকে ষষ্ঠবারের মতো জর্জিয়ার রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হন তিনি। প্রিসের সম্পদের পরিমাণ ১৩.৬ মিলিয়ন। পরিবহনমন্ত্রী হিসেবে ট্রাম্প নিয়োগ দিয়েছেন এলিনি চাওকে। তিনি জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়কার শ্রমমন্ত্রী ছিলেন ও বিয়ে করেছেন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা মিচ ম্যাককলিনকে। চাওয়ের সম্পদের পরিমাণ ২২ মিলিয়ন। শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ট্রাম্প পছন্দ করেছেন বেতসি ডিভোসকে। তিনি মিশিগান রিপাবলিকান পার্টি ও প্রধান জিওপি দাতা। তার পারিবারিক সম্পদের পরিমাণ ৫.১ বিলিয়ন, তিনি আমেরিকার ৮৮মত ধনী ব্যক্তি।
নিয়োগকৃত মন্ত্রীরা ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদের তালিকায় যাদের নাম অপেক্ষমাণ তারা সবাই মিলিয়ন মিলিয়ন সম্পদের অধিকারী। তেল, গ্যাস, খনিজ ও জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে হ্যারল্ড হাম এর নাম। তার সম্পদের পরিমাণ ১৪.৬ বিলিয়ন ডলার। জাতীয় নিরাপত্তা পদের প্রার্থীটি ম্যাককয়েল কংগ্রেসের সম্পদশালী সদস্যদের মধ্যে একজন। তার স্ত্রী লিন্ডা মেস ম্যাককয়েল বিলিওনার লরি মে’র কন্যা। ট্রাম্প পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ভাবছেন মিট রমনিকে। তার সম্পদের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের ক্যাবিনেটেও ছিল ‘মিলিওনার’ এ পরিপূর্ণ। বুশের কোষাগার মন্ত্রী গোল্ডম্যানের সম্পদ ছিল ৭০০ মিলিয়ন (২০০৬)। বুশের বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ইভানের সম্পদ ছিল ১.১ বিলিয়ন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যারল্ড ফোর্ডের সম্পদ ছিল ৫০ মিলিয়ন। বুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েলের সম্পদ ছিল ২৪.৫ মিলিয়ন।
প্রেসিডেন্ট ওবামার ক্যাবিনেটেও নিয়োগ পেয়েছেন মিলিওনার ও অপেক্ষাকৃত ধনী ব্যক্তিরা। ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনকেরির সম্পদের পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সম্পদ ছিল ৫৫ মিলিয়ন। ওবামার বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি প্রিটজেকার এর সম্পদ ২.৪ বিলিয়ন। সূত্র: ইয়াহু নিউজ। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি