জিয়ার কবর সরানোর ষড়যন্ত্র জনগণ মানবে না: মির্জা ফখরুল
কিরণ সেখ : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর সরানোর জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তবে কবর সরিয়ে তাকে জনগণের মন থেকে মুছে ফেলা যাবে না, জনগণ সেটা মেনেও নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার রাজধানী শেরেবাংলাস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জিয়ার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, লুই আই কানের মূল নকশা আনার মূল উদ্দেশ্য জিয়াউর রহমানের কবর সরানো। সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে মুক্তিযুদ্ধের মূলনায়কদের বিশেষ করে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ জিয়াউর রহমানের নাম বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে। কিন্তু তা কোনো দিন সম্ভব হবে না। কারণ জিয়াউর রহমানের নাম দেশের সব মানুষের হৃদয়ে গেঁথে আছে। তাই পদক কেড়ে নিয়ে বা তার কবর সরিয়ে দেওয়ার মতো হঠকারী কাজ দেশের জনগণ কখনো মেনে নেবে না। তিনি দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এখন নির্বাসিত। দেশে মুক্তিযোদ্ধারাও এখন নির্যাতিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার জনবিচ্ছিন্ন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিএনপির নেতাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। গত বৃহস্পতিবার লুই আই কানের তৈরি করা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। ৪০টি বাক্সে মূল নকশার চারটি করে সেট যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকায় আনা হয়।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা কখনই মনে করিনি এ নির্বাচন কমিশন দিয়ে কোনো সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার উপযুক্ত, সে যোগ্যতাই তার নেই। তারপরও গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষা, জনগণকে সংগঠিত করা এবং জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য এ নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা ও বিচার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে যে সরকার রয়েছে, এটা একটি জনবিচ্ছিন্ন সরকার। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সত্যিকার অর্থে যারা জনগণের প্রতিনিধি যারা জনগণের প্রিয় নেতা তাদেরকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য বহুদিন ধরে নীল নকশা এঁকেছে। এসময় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি শামা ওবায়েদসহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : ইসমাঈল হুসাইন ইমু