খুলনায় নির্মাণ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: খুলনা শহরে প্রথম আন্তর্জাতিকমানের পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করতে যাচ্ছে মুভেনপিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক এ চেইন কোম্পানিটি এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই করেছে।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি)’র আওতায় আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড হোটেল কাম ট্রেনিং সেন্টার’ নামে একটি প্রকল্প নীতিগত অনুমোদনের জন্য অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি আসন্ন মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদিত হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানিটি বাংলাদেশে মোট তিনটি হোটেল নির্মাণ করবে। খুলনা ছাড়াও কক্সবাজার ও ঢাকায় মুভেনপিকের আরও দুটি হোটেলের নির্মাণ কাজ চলছে। ২০১৯ সালের প্রথম দিকেই খুলনার হোটেলটির যাত্রা শুরু হবে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খুলনায় নির্মিত হতে যাওয়া এ হোটেলে মোট ২৪০টি কক্ষ, একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ও একটি বারসহ মোট পাঁচটি রেস্তোরাঁ থাকবে।
এছাড়া হোটেলটিতে আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন সেবা থাকবে। যার মধ্যে ৯৫০ জন অতিথিকে এক সঙ্গে আপ্যায়ন করার সুবিধাসহ একটি কনভেনশন সেন্টার, ৫০ জন বসতে পারে এমন চারটি সেমিনার কক্ষ, একটি বল রুম এবং ৪১০ জন বসতে পারে এমন একটি খোলা জায়গা থাকবে। হোটেলটিতে অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে- স্পা, স্টিম বাথ, সেলুন, সুইমিং পুল, জিম এবং তিনটি খুচরা পণ্য প্রদর্শনী কেন্দ্র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন সুবিধা প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাণিজ্যিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত খুলনা জেলাকে চিহ্নিত করেছে পর্যটন করপোরেশন। কারণ হিসেবে জানা গেছে, এখানে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ড হেরিটেজ ষাটগম্বুজ মসজিদ, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে লীলাভূমি ও বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দর বন এ জেলায় অবস্থিত। সুন্দরবন পরিদর্শনে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ্খুলনায় অবস্থান করেন।
এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সরকার বাস্তবায়ন করছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প পদ্মা সেতু প্রকল্প। এ সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। ফলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এসব বিষয় লক্ষ্য রেখেই পর্যটন করপোরেশনের নিজস্ব চার দশমিক ৬৭ একর ভূমিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আন্তর্জাতিকমানের আবাসন সেবা দিতে বেসরকারি খাতের অংশ গ্রহণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পর্যটন শিল্পের ব্যাপক উন্নয়নসহ বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও বিরাট জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে পর্যটন করপোরেশনের আর্থিক লাভের পাশাপাশি সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম