হিজাব না পরায় সৌদি সুন্দরীর মৃত্যুদ-ের দাবি
পরাগ মাঝি: কঠোর আইনের দেশ সৌদি আরব। নারীদের জন্য সে কঠোরতা আরও বেশি। হিজাব ছাড়া এই দেশটির কোনো নারীর জনসম্মুখে আসার উপায় নেই। কিন্তু সেই বিধি-নিষেধের বেড়াজাল ভাঙতে চেয়েছিলেন মালাক আল শেহরি। কিন্তু এবার তার মৃত্যুদ- দেওয়া হোক বলে দাবি উঠেছে দেশটিতে।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস’র এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেহরি রাজধানী রিয়াদে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। ছবিটিতে তার মাথায় কোনো হিজাব ছিলো না। যদিও ছবিটি পরবর্তীতে ওই এ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়। কিন্তু এর পরই ছদ্মনামের এক ব্যক্তি তার ছবিটিকে টুইট করে লিখে- ‘মিস শেহরি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোন হিজাব কিংবা আবায়া (সর্বাঙ্গ ঢেকে রাখার সৌদি পোশাক) না পরেই ব্রেকফাস্ট করতে যাবেন।’ এভাবে অসংখ্য সৌদি নাগরিক তার ছবিটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে থাকে এবং তাদের অনেকেই দাবি করে যেন তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। এমনকি শেহরিকেও নানা ধরনের হুমকি দিতে শুরু করে লোকজন।
লোকজনের এমন প্রতিক্রিয়ায় শেহরি তার এ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি ডিলিট করে দেন। কিন্তু তাতেও কাজ না হলে, তিনি তার অ্যাকাউন্টই ডিলিট করে দেন।
উন্মত্ত সৌদি নাগরিকরা শেহরির ছবিটিকে ছড়িয়ে দিতে শুরু করে এবং তাদের কেউ শেহরির ফাঁসি, কেউ গর্দান কেটে ফেলার দাবি জানায়।
চারদিকে শেহরির মৃত্যুদ-ের দাবি উঠলেও ইতোমধ্যেই অনেকেই তার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাদের অনেকেই এ প্রসঙ্গকে কেন্দ্র করে দেশটিতে নারী বৈষম্যের ইতি টানার আহ্বান জানিয়েছেন।
সৌদি আরবই এই গ্রহের একমাত্র দেশ যেখানে নারীদের ড্রাইভিংয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদিও সম্প্রতি দেশটির রাজপরিবারেরই এক নারী সদস্য এই নিয়মটিকে ভেঙে দেওয়ার পাঁয়তারা করেছিলেন। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট