বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী চায় জাতিসংঘ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব সংস্থার ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন থেকে ৮৫০ সদস্যের একটি সমন্বিত শান্তিরক্ষী দল চেয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিডিনিউজ
বাংলাদেশ মিশনের প্রেস সেক্রেটারি নূরএলাহী মিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘নতুন এই শান্তিরক্ষীদের দ্রুত পাঠানোর জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়েছে।’
এর আগে গত অক্টোবরেও সাউথ সুদানে ২৬০ সদস্যের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি পাঠাতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছিল জাতিসংঘ। আর নতুন দল চাওয়া হয়েছে সাউথ সুদানের উয়াও অঞ্চলের জন্য। চলতি বছরের আগস্টের হিসাব অনুযায়ী, ১২৩টি দেশের এক লাখ ৯৫০ জন শান্তিরক্ষী বিভিন্ন দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। এর মধ্যে ১৯৬ জন নারীসহ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ছয় হাজার ৭৭২ জন।
নতুন দুটি দল সাউথ সুদান মিশনে যোগ দিলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি সেনা ও পুলিশ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৮৮২ জনে, যা সব দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। বর্তমানে আট হাজার ৩২৬ জন শান্তিরক্ষী নিয়ে ইথিওপিয়া এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে।
নূরএলাহী মিনা বলেন, ‘২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে লিডারস সামিট অন পিস কিপিং-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানের প্রেক্ষিতেই জাতিসংঘের এই প্রস্তাব পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে জাতিসংঘের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে আসছে।’
দুই দশকের রক্তাক্ত লড়াইয়ের পর ২০১১ সালের ৯ জুলাই সুদান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সাউথ সুদান। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাচারের দ্বন্দ্ব থেকে ২০১৩ সালে সেখানে শুরু হয় রক্তক্ষয়ী জাতিগত সংঘাত। জাতিসংঘের হিসাবে এই সংঘাতে প্রায় ৩ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে; বাস্তুহারা হয়েছেন ১০ লাখ লোক। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ