শিম সমুদ্র ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার কৃষকরা স্বপ্ন দেখছেন লাখপতি হওয়ার
কলিট তালুকদার, পাবনা : পাবনার আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ ছেয়ে গেছে শীতের সবজি শিমে। ব্যাপক আবাদের কারণে পাবনার এ উপজেলার বিশাল এলাকার নামকরণ করা হয়েছে শিম সমুদ্র নামে। পরপর কয়েক বছরের বাম্পার ফলন আর উৎপাদিত শিমের মান ভালো হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলিতে গড়ে উঠেছে দেশের বৃহত্তম শিমের হাট। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আড়ৎদার ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন এখানে। বিক্রি হচ্ছে হাজার হাজার মণ শিম। বেচাকেনার কারণে সাপ্তাহিক এ হাটগুলো পরিণত হয়েছে শিম বিপননের দৈনন্দিন হাটে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে পাবনার ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়া উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আবাদ হচ্ছে শিম। আবাদের ঝামেলা কম, বেশি লাভ আর বিভিন্ন সুবিধার কারণে এসব অঞ্চলের কৃষকরা অন্য সবজি বা ফসলের চেয়ে শিম চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠে। ব্যাপক আবাদের কারণে ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার নছিরামপুর, রামেশ্বরপুর, কাঁকমারি, কচুয়ারামপুর, দূর্গাপুর, রোকনপুর, পারখিদিরপুর, নাদুড়িয়া, সড়াবাড়িয়া, কালামনগর, সোনাকান্দর, খিদিরপুর, চাঁদভা ইউনিয়নের সঞ্জয়পুর, বাচামারা, রতিপুর, হাপানিয়া, বেরুয়ান, কুমারেশ্বর, লক্ষনপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার নামকরণ করা হয়েছে শিম সমুদ্র নামে। মৌসুমের শুরু থেকে এসব এলাকার অধিকাংশ পরিবার ঝাঁপিয়ে পড়েছে শিম আবাদে।
আলাপকালে রামেশ্বরপুর গ্রামের কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, নিজের সাড়ে তিন বিঘা জমির পাশাপাশি তিনি স্থানীয় এক জমির মালিকের কাছ থেকে চুক্তি নিয়ে মোট ৭ বিঘা জমিতে শিম আবাদ করেছেন। বিঘাপতি আবাদে তার খরচ পড়েছে ১২ হাজার টাকা। এর বিপরিতে প্রতি বিঘা শিম বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে তার মুনাফা থাকবে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। একই কথা জানান, কৃষক আব্দুস সামাদ, আজগর আলী, হেলাল উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন আরো অনেকেই। সম্পাদনা : তারেক