ধরলার ভাঙনে ২শ মিটার তীররক্ষাবাঁধ নদীতে
এম এস সাগর, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে ধরলার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ। নদীতে বিলীন হয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২শ মিটার তীর রক্ষা বাঁধ। শুকনো মৌসুমে আকস্মিক ভাঙনে ঘর-বাড়ি হারানো দুই শতাধিক পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ অবস্থায় দ্রুত সরকারি সহায়তা কামনা করছে অসহায় পরিবারগুলো।
ইতিমধ্যে ১ সপ্তাহে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙনে মোগলবাসা ইউনিয়নের মোগলবাসা গ্রামের বাজার সংলগ্ন প্রায় ২শ মিটার তীর রক্ষা বাঁধ, দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি ও কয়েক একর ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র পাকা সড়ক, ঐতিহ্যবাহী মোগলবাসা হাট, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নিধিরাম, বাঞ্চারাম ও কিসামত গ্রামসহ দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ১ মাসের মধ্যে মোগলবাসা হাটসহ তিনটি গ্রাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাকা সড়ক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। বন্ধ হয়ে যাবে মোগলবাসার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
শেষ আশ্রয় টুকু হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজে পাচ্ছেন না নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলো। হাতে টাকা ও খাবার না থাকায় দু’চোখে শুধুই অন্ধকার দেখছেন তারা। যোগাযোগের পরও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাড়া না পাওয়ায় নদী পাড়ের মানুষজনকে ঘর-বাড়ি হারাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ধরলার তীব্র ভাঙনে ভিটে-মাটি সব নদী গর্ভে চলে গেছে। এখন কোথায় যাবো তার উপায় নাই। কেউ এমনিতে বাড়ি করার জায়গা দেয় না। বউ-বাচ্চা নিয়া খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি। খাবার নাই, টাকাও নাই। চেয়ারম্যান- মেম্বার এখন পর্যন্ত কোনো সাহায্যও দেয় নাই। এ অবস্থায় আছি। সামনে কি হবে আল্লাহই ভালো জানেন।
মোগলবাসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবলু জানান, নদী ভাঙ্গন শুরুর আগে থেকেই আমরা এলাকাবাসীসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধরলার ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ৩টি স্থানে বাঁশের ৪৫০ মিটার বান্ডাল দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। সম্পাদনা : তারেক