ট্রাম্পের মুসলিম ও ইমিগ্র্যান্টবিরোধী বক্তব্যের প্রতিবাদ নিউইয়র্কে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সমাবেশ ও হেট ফ্রি জোন ঘোষণা
বিশেষ প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম ও ইমিগ্র্যান্টবিরোধী বক্তব্য এবং পদক্ষেপ নেওয়ার অগ্রিম ঘোষণায় মুসলিম এবং ইমিগ্র্যান্ট কম্যুনিটিতে এক ধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেই আতঙ্ক দূর করতে এবং নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে অনেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে নিউইয়র্কের প্রায় শতাধিক মানবাধিকার সংগঠন। তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন বক্তব্যকে মানবাধিকার বিরোধী ও হিংসাত্মক উল্লেখ করে তারা নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকাকে হেট ফ্রি জোন ঘোষণা করেছে। তারা বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হিংসা, জাতি, বর্ণ ও ধর্মে বিভক্তির বিরুদ্ধে। আমরা ঘৃণা নয়, ভালবাসায় বিশ্বাসী এবং সেই ভালবাসা দিয়ে আমরা একে অন্যকে প্রটেক্ট করব। হেট ফ্রি জোন ঘোষণার অনুষ্ঠানটি গত ২ ডিসেম্বর বিকালে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের ড্রাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্ক থেকে এনা জানায়, মানবাধিকার সংগঠন ড্রামের আর্গানাইজিং ডিরেক্টর কাজী ফৌজিয়া এবং ফিলিপিনি প্রতিনিধি উগনায়ানের পরিচালনায় র্যালির পূর্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ড্রামের ইয়ুথ লিড়ার পুনম দাস, কুইয়ার ডিটেইনি অ্যামপাওয়ারমেন্টের প্রতিনিধি চিলো সিলভা, জাস্টিস কমিটির জ্যাসলেইন আতাহুলাপা, মেক দ্য রোড নিউইয়র্কের প্রতিনিধি মার্গট রেভেরা, মেম্বার অব জুইস ফর রিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক জাস্টিসের প্রতিনিধি ডেব লোলাই, দায়ান কম্যুনিটির প্রতিনিধি লিডিয়া ক্যাটিনা, কাউন্সিলম্যান ড্যানিয়ে ড্রাম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম হাওলাদার, ইন্দো- ক্যারেবিয়ার প্রতিনিধি সিমনী জিঙ্গোর, নিউইয়র্ক ইন্টার ফেইথ সেন্টারের প্রতিনিধি ইমাম বুকাডুম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিরোধী বক্তব্য, মুসলমানদের রেজিস্ট্রেশন করা, অবৈধ ইমিগ্র্যান্টদের বের করে দেওয়া, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরি করা, আফ্রিকানদেরসহ বিভিন্ন ধর্ম এবং বর্ণের মানুষের মধ্যে বিভক্তি তৈরির প্রতিবাদ করেন। তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন, এটা আমাদের দেশ, এই দেশ থেকে আমাদের বের করে দেওয়া যাবে না। আমরা এখানেই থাকব এবং এখানেই মরব। মুসলমানদের রেজিস্ট্রেশন করার যে ঘোষণা ট্রাম্প দিয়েছেন তা তাকে প্রত্যাহার করতে হবে।
কাউন্সিল্যমান ড্রানিয়েল ড্রাম বলেছেন, নিউইয়র্ক সিটি ইমিগ্র্যান্ট এবং মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় যা যা করতে হয় আমরা তাই করব।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পুলিশি বাধার মুখেও নিউইয়র্কের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম