কালাইয়ের ১১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
মতলুব হোসেন, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ১২৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার নেই ১১৪ টিতে। একদিকে সরকারি তহবিলের অভাব অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অবহেলার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে আজও নির্মাণ করা হয়নি শহীদ মিনার। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস থেকে শুরু করে সকল দিবসের তাৎপর্য, ইতিহাস এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে ধারণা নেয়া থেকে একেবারেই বঞ্চিত রয়েছে কালাই উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনার নেই এমন কিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এলাকার কিছু কিছু গ্রামে ১৬ ডিসেম্বর ও ২১ ফেব্রুয়ারীর আগমনে দেখা যায় আজও উজ্জীবিত কিছু যুবক-যবতী এবং ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগে এলাকার বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফাঁকা জায়গায় কলা গাছ পুঁতে বাঁশ, কাঠ, ও কাগজ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে সেখানে পালন করে মহান বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সেই সাথে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলিও অর্পণ করা হয় ওইসব অস্থায়ী শহীদ মিনারে। এতে করে মহান বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মান উজ্জল হওয়ার চাইতে ক্ষুন্ন হওয়া ছাড়া আর কিছুই চখে পড়ে না। যদিও উপজেলার কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয় কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে ওই দিবসের কোন গুরুত্বপূর্ণ দিক বা তাৎপর্য তুলে ধরা হয় না। এমনকি কোন কর্মসূচীই পালণ করা হয় না বলেও অভিযোগ রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালাই উপজেলাতে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা এবং কলেজ মিলে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৪টিতেই কোন শহীদ মিনার নেই। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অথবা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করার নির্দেশ থাকলেও তা আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি। বরংওই নির্দেশকে উপেক্ষিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রেজাউল করিম জানান, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ সকল জাতীয় দিবস অতি গুরুত্বের সাথে পালন করা হয়ে থাকে। সম্পাদনা: তারেক