নাগরিক সেবা নেই ডিএসসিসির ১৯ কমিউনিটি সেন্টারে
ফয়সাল খান : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় মোট ৩৬ টি কমিউনিটি সেন্টারের মধ্যে ১৯ টিতেই নাগরিক সেবা নেই। এছাড়া বাকি কমিউনিটি সেন্টারগুলোর বেশিরভাগই নোংরা অপরিচ্ছন্ন থাকতে দেখা যায়। এতে করে অতি পুরোনো আর দীর্ঘ বছর সংস্কার না করায় এসব কমিউনিটি সেন্টারগুলোতেও এলাকাবাসী নিজেদের কোন অনুষ্ঠানে করতে আগ্রহ দেখায় না। ফলে স্বল্প মূল্যে এসব কমিউনিটি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। এক প্রকার বাধ্য হয়েই চড়া মূল্যে বিভিন্ন বেসরকারি হল ভাড়া নিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন করছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএসসিসির চলতি বছরের বাজেটে কমিউনিটি সেন্টার উন্নয়ন বাবদ ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সেন্টারগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কতৃপক্ষ। অনুসন্ধানে জানা যায়, ডিএসসিসির ৩৬ টির মধ্যে ১৬ টি কমিউনিটি সেন্টার ভাড়ায় চলমান আছে। আর বাকি ১৯ টিতে নেই কোনো নাগরিক সেবা। এর মধ্যে ২ টিতে র্যাবের কার্যালয় ও ২টি কমিউনিটি সেন্টারের পুরোটা আর ৩ টির আংশিক জায়গাজুড়ে থানা হিসাবে ব্যবহার করছে পুলিশ। আর ৩ টিতে করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় ও রাজস্ব অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন ও জরাজীর্ণ হওয়ায় ৬ টি সেন্টার জরাজীর্ণ হয়ে বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আরো ৪টি সেন্টার নির্মাণ বা সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে ১ টি সেন্টার গত এক যুগেও চালু করা হয়নি। জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, মূলত এসব বেশির ভাগ কমিউনিটি সেন্টার পুরাতন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। আঞ্চলিক কার্যালয় ও রাজস্ব অফিস ৩টি: আজিমপুর কবর স্থানের বিপরীতে আজিমপুর মিনি কমিউনিটি সেন্টারটি ডিএসসিসির অঞ্চল ৩ এর রাজস্ব বিভিাগের অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আজিমপুরের গণি সর্দার ও তিলপাড়া কমিউনিটি সেন্টারটি ব্যবহৃত হচ্ছে আঞ্চিলিক কার্যালয় হিসাবে। পুলিশ ও র্যাবের কার্যালয় ৭টি: অধীনে সায়দাবাদ বাস টার্মিনালের নিকটে মুক্তিযোদ্ধা মুরাদ কমিউনিটি সেন্টারটি ২০০৭ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছে র্যাব। আর অধিনে এর আজিমপুরের লালবাগ মাদ্রাসার নিকটে শায়াস্তা খান কল্যান কেন্দ্রটিও ২০০৬ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছে তারা। ২০০৯ সাল থেকে অধিনে ধানমন্ডি ভূতের গলি কমিউনিটি সেন্টার ও শহীদ নগর কমিউনিটি সেন্টার দুটি পুরোটাই ব্যবহার করছে পুলিশ। এছাড়া কমিউনিটি সেবার পাশাপাশি থানা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এর আফিরুদ্দিন সর্দার কমিউনিটি সেন্টার, ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টার এবং ওয়ারীতে অবস্থিত আব্দুর রহিম কমিউনিটি সেন্টার। পূর্ণ-নির্মান কাজের জন্য বন্ধ ৩টি: ইসলামবাগ কমিউনিটি সেন্টার, কামরাঙ্গিচরের রসুলপুর কমিউনিটি সেন্টার এবং মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার পূর্ণ-নির্মান কাজের জন্য বন্ধ রয়েছে।