‘কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস আইন, ২০১৬’ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উঠছে আজ
আনিসুর রহমান তপন: ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস আইন, ২০১৬’র খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। যেটি আজ অনুমোদন পেতে পারে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
জানা গেছে, দি বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস (এমেন্ডমেন্ড) অধ্যাদেশ, ১৯৭৬-কে যুগোপযোগী করে বাংলা ভাষায় রূপান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে আইনটি ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস আইন, ২০১৬ নামে অভিহিত করা হবে এবং আইনটি কার্যকর করার জন্য গেজেট জারির মাধ্যমে বলা হবে কবে থেকে আইনটি কার্যকর হবে। এতে ২১টি ধারা আছে। এই ধারা অনুযায়ী কলেজ প্রতিষ্ঠা, ফেলোশীপের যোগ্যতা, কলেজের কার্যাবলী, কাউন্সিল গঠন ও এর ক্ষমতাসহ কলেজ পরিচালনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আইনে কলেজ প্রতিষ্ঠা বিষয়ে বলা হয়েছে, কলেজ সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে এবং এর স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সীলমোহর থাকবে। কলেজ স্থাবর, অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করতে পারবে, রাখতে পারবে, হস্তান্তর করতে পারবে এবং চুক্তি করার ক্ষমতা থাকবে এবং উক্ত নামের অধীনে যে কারো বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
আইনে ফেলোশীপের যোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ক) ব্যক্তিগণ যাহারা ফেলোশীপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে এবং কাউন্সিল কর্তৃক ফেলো হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, খ) ব্যক্তিগণ যাদেরকে পূর্বে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস আদেশ, ১৯৭২ (সংশোধিত অধ্যাদেশ-১৯৭৬) এর ধারা ৩ এর অধীনে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস এর ফেলো হিসেবে নির্বাচিত বা গ্রহণ করা হয়েছে এবং যাহারা বাংলাদেশের নাগরিক গ) এই আইনের ধারা ৯(২)(ছ) এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিগণ।
কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ২০ জন সদস্যের সমন্বয়ে কলেজের একটি কাউন্সি গঠন করা হবে। যাদের মধ্যে ১৬ জন ৪ বছরের জন্য ফেলোগণের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। অবশিষ্ট ৪ জন সরকার কর্তৃক ৪ বছরের জন্য ফেলোগণের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে।
কাউন্সিলের সদস্যগণ, বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, তাদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং একজন কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করবেন।
আইনের ৫ ও ৬ ধারাতে কলেজের কার্যাবলী ও কলেজের সাধারণ পরিচালনা ও প্রশাসন সম্পর্কিত বিষয়ে বলা হয়েছে। আইনের আওতায় গঠিত কাউন্সিল আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রয়োজনে গেজেট জারি করে বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবে। এছাড়া বিলুপ্ত আদেশ এর অধীনে বর্তমানে কার্যকর বিধিমালা, আদেশ এবং কলেজের সম্পত্তি, অর্থ নিযুক্ত কর্মচারীদের বিষয় সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আইনের মাধ্যমে কাউন্সিল কোনো ফেলোকে অসদাচরণের জন্য বা কলেজের স্বার্থ পরিপন্থি কাজের জন্য ফেলোশীপ হতে বহিষ্কার করতে পারবে।
বলা হয়েছে, এই আইনের অধীনে সরল বিশ্বাসে করা কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা থাকলে কাউন্সিল, কাউন্সিলের কোনো সদস্য, সচিব এবং কলেজের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে দেওয়ানী বা ফৌজদারি মামলাসহ অন্য কোনো প্রকার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। সম্পাদনা : মাহমুদুল আলম