ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের সাথে সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করার পর এবার বাংলাদেশের সাথেও একই ধরনের চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের। তারা বলছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হলেও এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য এ ধরনের চুক্তির কোনো প্রয়োজন নেই। আজ থেকে হাওয়াইয়ে শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ পঞ্চম প্রতিরক্ষা সংলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে আভাস সংশ্লিষ্টদের।
গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলার পর থেকে বেশ জোরেশোরে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের নেটওয়ার্ক এবং এর বিকাশ নিয়ে উদ্বেগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বেশ কটি রাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর ছাড়াও দেশটির রাষ্ট্রদূত একাধিকবার সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে দেখা করে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশকে কারিগরি ও প্রশিক্ষণ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
চলতি বছরের আগস্ট মাসে ভারতের সাথে লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট শীর্ষক সামরিক সহযোগিতা চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সংলাপে ঢাকার সাথেও এ ধরনের চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় আগ্রহী ওয়াশিংটন। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
তারা বলেন, নীতিগতভাবে বাংলাদেশ এই ধরনের সামরিক সহায়তা চুক্তির বাইরে থাকতে পছন্দ করে। এই মুহূর্তে এই বিষয়ে আলোচনার কোনো বিষয় রয়েছে বল মনে হয় না। এছাড়া ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। এটি এখনো পরিপক্ব বিষয় হয়ে দাঁড়ায়নি বলে জানান তারা।
তবে এ সংলাপে সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদ দমনে সহযোগিতা এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ বাড়ানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে জোর দেওয়ার পরামর্শ কূটনীতিকদের।
তারা বলেন দক্ষিণ এশিয়ার অংশ হিসেবে এখানকার নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে এখানে আলাপ-আলোচনা হতে পারে বলে জানান তারা।
এ চুক্তি হলে দুদেশের মধ্যে সামরিক তথ্য বিনিময়ের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মকা-ে যৌথভাবে অংশ নেবে দুদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সূত্র: সময়টিভি। সম্পাদনা: সাইদ রিপন