বিশ্বজিৎ দত্ত: রাজধানীসহ সারাদেশের ১৩টি অভিজাত ক্লাবে জুয়া খেলার উপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ক্লাবের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে কোনো খেলা হয় না। তা ছাড়া তারা এখনো হাইকোর্টের নির্দেশ হাতে পাননি। তাই বলতে পারছেন না কোর্টের নির্দেশে আসলে কী রয়েছে। অন্যদিকে ক্লাবে জুয়ার বিষয়ে রিট আবেদনকারী আইনজীবী রেদোয়ান আহমেদ গতকাল আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, যে ১৩টি ক্লাবের জুয়া খেলায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেখানে যদি অর্থের বিনিময়ে কোনো খেলা না হয় তবে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সংবিধান ও মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশ অনুযায়ী জুয়া খেলা নিষিদ্ধ। সংবিধানের দুই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জুয়া ও পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ। অন্যদিকে মেট্রোপলিটন অধ্যাদেশেও জুয়া খেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরা ক্লাবের সেক্রেটারি, মেজর (অব) আব্দুর রশিদ বলেন, আমাদের ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে কোনো কার্ড খেলা হয় না। তাছাড়া কোর্টের আদেশে কী বলা হয়েছে তা এখনো জানি না। সেটা জানার পর সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। বনানী ক্লাবের একজন কর্মকর্তাও একই মত প্রকাশ করে বলেন, কোর্টের আদেশ পেলে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ দেশের ১৩টি ক্লাবে অর্থের বিনিময়ে হাউজি, ডাইস ও কার্ড খেলা আয়োজন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। ক্লাবগুলোকে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ ১২ বিবাদীর প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও শেখ হাসান আরিফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ খেলার নামে কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলার বেআইনি ব্যবসা আয়োজনকারীদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। মোট ২৫ বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১৩টি ক্লাব হলো ঢাকা ক্লাব, উত্তরা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, ধানম-ি ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, সিলেট ক্লাব ও খুলনা ক্লাব। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম