হুমায়ুন আইয়ুব: হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, সাহাবারা নবীজিকে বললেন, হে নবী আপনি আমাদের সঙ্গে হাসি কৌতুক করছেন?
নবীজি (সা.) বললেন, আমি সব সময় সত্য বলি।
হাসি কৌতুক আমাদের নিত্য সঙ্গী। আমরা হাসি। কাঁদি। একাএকা। সবে মিলে। মেতে উঠি উল্লাসে। আনন্দে। আমাদের ছোট একটা জীবন। জীবন নদীর দুই মাঝি হাসি-কান্না। নবীজি নিজেও হাসেন। কাঁদেন। কুরআন শরিফ বলে, তোমরা কাঁদো বেশি। হাসো কম।
হাসি-কান্না নবী জীবনের বৈচিত্র্য অংশ। সাহাবাদের সঙ্গে কৌতুকও করেছেন নবীজি। হজরত আবু হুরাইরা (রা.) বলেন, সাহাবারা নবীজিকে বললেন, হে নবী আপনি আমাদের সঙ্গে হাসি কৌতুক করছেন? নবীজি (সা.) বললেন, আমি সব সময় সত্য বলি। নবীজির কৌতুকের একটা উদাহরণ শোনো, এক বৃদ্ধ মহিলা নবীজির দরবারে এলেন। নবীজি (সা.) বললেন, বুড়া মানুষ জান্নাতে যাবে না। বৃদ্ধ শুনে কেঁদে শেষ। তার মানে আমি! আমি জান্নতে যাব না।
নবীজির মুখে হাসির রেখা। চোখে-মুখে আনন্দের ঢেউ। নবীজি বললেন, প্রবেশের আগে সব জান্নাতিরাই হবে টগবগে যুবক-যুবতি। এবার বুড়ি জলচোখে হেসে উঠলেন। ফিরে পেলেন জান্নাতে যাওয়ার আশা। বন্ধুরা! দেখলে তো নবীজি কেমন কৌতুক করতেন? হাসির ছলে মিথ্যে বলতেন না। তাই রসিকতার রসে কারও মনে কষ্ট দেওয়া নয়। হেসে খেলে কারও অপমান কিংবা নিন্দা করাও অপরাধ।
আমাদের ভাবনায়ও নেই, হাসি-কান্নার ধর্মকথা। মুমিনের মুখের হাসি আল্লাহর কাছে খুব প্রিয়। হাসি মুখে কথা বললে দুহাত মেলে দান করার সওয়াব পাওয়া যায়। বন্ধু, সহপাটি, প্রতিবেশীর সঙ্গে হেসে কথা বলবে। সম্মান জানাবে। গাছে গাছে ফুল তোমার মুখে হাসি।