তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে গত ২৮ অক্টোবর রসরাজ দাসের মোবাইল থেকে পবিত্র কাবা শরীফ নিয়ে অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার দায়ে তাকে বিগত ২৯ অক্টোবর একদল যুবক ধরে নিয়ে হরিপুর ইউপি চেয়্যারমান অফিসে আটক করেন তারপর রসরাজকে নাসিরনগর থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পোস্ট করা ঘটনার দায়ে পরবর্তীতে ৩০ অক্টোবর সকাল বেলা একদল দুর্বৃত্ত রসরাজের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে ভাংচুরের ঘটনার পর থেকেই পালিয়ে গেছে রসরাজের পরিবার।
হরিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার প্রফুল্ল দাস বলেন, রসরাজের বাড়ি যে মহল্লায় সেটি আমার নিজের ওয়ার্ড এই দাস পাড়া। ঘটনার পর থেকে তাদের কোনো খোঁজ-খবর ছিল না। কিন্তু গত একসপ্তাহ আগে রসরাজের আপন বড় ভাই দয়াময় দাস (৩২) বাড়িতে এসেছে। রসরাজরা তিন ভাই, ১ বোন আর তার বাবার নাম জগন্নাথ দাস (৫৫)। রসরাজের আপন চাচা জয়দেব দাস(৫০) সেও এখন তার নিজ বাড়িতে আছে। আমরা শুনেছি তার বাবা-মা ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন জানান, রসরাজের মোবাইল থেকে ছবি পোস্ট হয়েছে সেটা তদন্তে আসল রহস্য বের হয়ে আসবে। তাকে জামিন দেওয়া না দেওয়া সবই আদালতের ব্যাপার। তার পরিবার নাসিরনগর আসতে বাধা কোথায়। তারাতো কোনো অপরাধ করেনি। রসরাজের বাবা-মা ভাই বোন বাড়িতে আসতে কোনো সমস্যা মনে করলে আমরা তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিব। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম