মো. নিয়ামুল ইসলাম আকঞ্জী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার পবিত্র কর বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অতি সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যে হামলা হয়েছে সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ত্রিপুরা রাজ্যবাসী এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে। এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাদের দেশেও (ভারত) ঘটছে। গতকাল রোববার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নাসিরনগরে গিয়ে জানতে পেরেছি দত্ত বাড়ি রক্ষা করতে গিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইয়েরা মার খেয়েছে। এখানে কোনো ভেজাল নেই। তবে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেছে তাতে কোনো দুঃখ না থাকলেও মন্দিরগুলো না ভাঙলে আমরা খুশি হতাম। নাসিরনগরের হামলার ঘটনা বাংলাদেশের কোনো দলই সমর্থন করেনি। এ ঘটনার প্রতিবাদ হয়েছে। ঘটনার পর প্রশাসনসহ বিভিন্ন দলের লোকজন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে গিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের বসবাসের মতো পরিস্থিতি নাসিরনগরে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সেটি একটি দৃষ্টান্ত। কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, সে উন্নয়নে বাংলাদেশ আমাদের অনুকরণীয়। এই সাফল্যই বাংলাদেশের দারিদ্র্যতা দূরীকরণের অন্যতম একটি পথ। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক টেনে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, এটি আত্মীয়তার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আমাদের দুদেশের মধ্যে আদান-প্রদান আরও বাড়াতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু ঢালু তাই ত্রিপুরা থেকে কালো পানি আসবেই। তবে আখাউড়ার কালন্দী খাল দিয়ে যে দূষিত কালো পানি আসে সেটি যেন পরিশোধন করে ছাড়া হয় সেজন্য একটি প্লান্ট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেস ক্লাবের সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সাবেক প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ। মতবিনিময় সভায় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: তারেক