এল আর বাদল: নভেম্বরে শুরু হওয়া বিপিএলের নিজস্ব প্রথম ম্যাচে পরাজয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মাশরাফি বিন মোর্তুজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এই আসর তাদের শেষ হলো জয় দিয়ে। বিপিএলের শেষ দিকে পাঁচ ম্যাচ জিতলেও ফায়দা হয়নি। তাদের এই জয়ে দুটি দল খাদের কিনারে পড়ে গেছে। ঢাকা ডায়নামাইটস, চট্টগ্রাম ভাইকিংস ও রাজশাহী কিংস সেমিফাইনাল নিশ্চিত করলেও খুলনা টাইটানস আর রংপুর রাইডার্স মাশরাফিদের কাছে হেরে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি। গতকাল কুমিল্লার বিরুদ্ধে রংপুর জিতলে অনায়াসে চলে যেতো সেমিতে। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ খেলে কুমিল্লার কাছে ৮ রানে হেরেছে রংপুর।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে কুমিল্লা ১৭০ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করায় রংপুরের সামনে। জবাবে জয় থেকে ৮ রান দূরে থেকে গ্রুপ পর্বের যাত্রাটা শেষ করে রংপুর। এদিন রাতের ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে খুলনা যদি জিতে যায় তাহলে বাদ পড়বে রংপুর। তবে খুলনা হারলে প্লে অফে উঠবে রংপুরের সঙ্গে প্লে অব ম্যাচ খেলবে তারা। ১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কুমিল্লার মতো শুরুটা ভালো করে রংপুরও। প্রথম ৬ ওভারে আসে ৪৮ রান। অবশ্য এর মধ্যে ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ১২ বলে ৫ রান করে নাবিল সামাদের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন সৌম্য সরকার।
সপ্তম ওভারে অধিনায়ক মাশরাফি ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ মিঠুনকে। ২ রান করেন রংপুরের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ফিরতি ওভারে লিয়াম ডসনকে ফিরিয়ে রংপুরকে চেপে ধরেন নাবিল সামাদ। নবম ওভারে মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের মালিক মোহাম্মদ শেহজাদ। ৩১ বলে পাঁচ চার ও দুটি ছয়ে ৪৫ রান করেন শেহজাদ। এরপর নাঈম ইসলামের সাথে ৪২ রানের জুটি বাঁধেন আফ্রিদি।
১৩তম ওভারে ধৈর্য হারিয়ে বসেন রংপুর দলপতি। ১৪ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি আফ্রিদিও। ১৯ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নেন তিনি। ২২ বলে তিনটি ছয়ে ৩৮ রান করেন জিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রানে শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন কুমিল্লার ইমরুল কায়েস ও খালিদ লতিফ। এই জুটিতেই আসে ৮৮ রান। রংপুরের উইকেটের বন্ধ্যাত্ব ঘোচান আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে ইমরুলকে ফিরিয়ে দেন এই বাম হাতি স্পিনার। বাউন্ডারিতে লিয়াম ডসনের দারুণ এক ক্যাচে ফেরেন কুমিল্লার ওপেনার।
ফিরতি ওভারে আবার আঘাত হানেন আরাফাত সানি। খালিদ লতিফকে শহীদ আফ্রিদির তালুবন্দী করেন এই বোলার। ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান করে পাকিস্তানের এই ব্যাটসম্যান। ১৬তম ওভারে শহীদ আফ্রিদির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর আশহার জাইদ ও রশীদ খানের ব্যাটে চড়ে ১৭০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা।