এম রবিউল্লাহ: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অকল্যান্ড শহরের নাইট ক্লাবে অগ্নিকা-ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ভবনটির ধ্বংসাবশেষ থেকে আরও লাশ পাওয়ার আশঙ্কা করছেন উদ্ধার কর্মীরা। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। শুরুতে মৃতের সংখ্যা ৯ জন হলেও ধীরে ধীরে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।
অ্যালামেডা কান্ট্রি শেরিফ অফিসের মুখপাত্র রে কেলি বলেন, প্রতিকূল অবস্থা ও ঝুঁকির কারণে হতাহতের সঠিক তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সতর্কভাবে কাজ করে আমরা ৩৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছি। পুরো ভবনটি ভেঙ্গে অন্য পথ তৈরি করে নিতে হয়েছে, কারণ ভবনের প্রবেশ পথ বন্ধ ছিল।
রে কেলি আরও জানান, নিহতদের চিহ্নিত করতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। নিহতদের ডিএনএ ও দাঁত পরীক্ষা করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে। নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে টুথ ব্রাশ ও চিরুনী নিয়ে আসা হবে। হিজড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে যারা নিহত হয়েছে তাদের চিহ্নিত করতেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর পরই আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। এই পর্যন্ত মাত্র ৩৩ ভাগ বিল্ডিংয়ের অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়েছে। এখনো আরও ৭০ ভাগ অনুসন্ধান বাকি আছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে অকল্যান্ডের সিটি মেয়র লিবি স্কাফ বলেন, এই বিস্ময়কর অগ্নিকা-ের জন্য আমরা শোকাহত। এই অগ্নিকা-ের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে আমরা ‘ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন টিম’ গঠন করেছি। ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করার জন্য দমকল বাহিনী ধারাবাহিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
অকল্যান্ড ফায়ার ব্রিগেডের প্রধান মিলিন্ডা ড্রাইটন বলেন, আমরা আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। পানি ঢালা হচ্ছে ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করার জন্য। ১৯ বছর ধরে মিলিন্ডা অকল্যান্ডে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক মর্মান্তিক অগ্নিকা-ের সাক্ষী তিনি। ১৯৯১ সালে অকল্যান্ড হিলসে মর্মান্তিক অগ্নিকা-ে ২৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
নাইটক্লাবে ইলেক্ট্রনিক্স গ্রুপ গোল্ডেন ডোনা কনসার্টের আয়োজন করেছিল। কনসার্টের ইভেন্ট ফেসবুক পেইজে বলা হয় অগ্নিকা-ে অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নাইট ক্লাবের অগ্নিকা-ের ঘটনায় ২৫ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল কেটিভিইউ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্লাবের ভিতরে অন্তত ৫০ জন ছিলেন। ইউএসএ টুডে ও সিএনএন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি