লিহান লিমা: সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে রোববার অনুষ্ঠিত গণভোটে পরাজয়ের পর পদত্যাগ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তিও রেনজি। গণভোটের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করার আগেই রোববার গভীর রাতে ইতালির এই তরুণ নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
গণভোটের ফলাফল প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে রেনজি বলেন, গণভোটের ফলাফল এবং দায়-দায়িত্ব আমি মেনে নিয়েছি। সংবিধান সংশোধনের বিরোধীদের উচিত দ্রুত দেশ পরিচালনার ব্যাপারে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরা। রেনজি জানান, সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পদত্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি। মাত্র আড়াই বছর ক্ষমতায় থাকার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলেন রেনজি।
১৯৪৮ সালের সংবিধান পাল্টে নতুন করে ইতালিয়ান পার্লামেন্ট গড়তে চেয়েছিলেন ৪১ বছরের এই প্রধানমন্ত্রী। ৩৫০ থেকে সিনেটরের সংখ্যা নামিয়ে আনতে চেয়েছেন ১০০-তে। রেনজির পরিকল্পনায়, সিনেটের সদস্যদেরও প্রদেশগুলো থেকে মনোনীত করা হবে। সিনেটের ক্ষমতা কমিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারে ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধন করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী রেনজি। তিনি বলেছিলেন, তার পরিকল্পনা সফল হলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। কিন্তু দেশের জনগণ তার উল্টোটা ভেবেছেন।
ইতালির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আরএআই পরিচালিত ভোটার জরিপে দেখা গেছে, সংবিধান সংশোধনের প্রতি ৪২ থেকে ৪৬ শতাংশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন ৫৪ থেকে ৫৮ শতাংশ জনগণ।
ইউরোভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হচ্ছে ইতালি। ভোটার জরিপের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের বিপরীতে ইউরোর দাম কমে গেছে। এটি দেশটির অর্থনীতিকে আঘাত হানবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি