এস এম নূর মোহাম্মদ: মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শরীয়তপুরের পলাতক মৌলভী ইদ্রিস আলী সরদারকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন ট্রাইাব্যুনাল। গতকাল সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।
এছাড়া এ মামলার অপর আসামি মাওলানা সোলায়মান মোল্যা ওরফে সোলায়মান মৌলভী গত ২৫ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধেও অপরাধ প্রমাণ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন। এ নিয়ে ২৭টি মামলার রায় ঘোষণা করলেন ট্রাইব্যুনাল। আর এসব মামলায় ৪৬ আসামির মধ্যে মোট ২৮ জনকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে।
গতকালের রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা চারটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে অথবা গুলি করে ইদ্রিস আলীর সাজা কার্যকর করতে পারবে সরকার। আর পলাতক ইদ্রিস আলীকে গ্রেফতারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও র্যাবের মহাপরিচালককে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নিতেও বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে গতকাল রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। আর পলাতক ইদ্রিসের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম বলেছেন, তার মক্কেল আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আত্মসমর্পণ করলে আপিলে খালাস পাবেন বলে তার অভিমত।
চার অভিযোগের মধ্যে ২০০ জনকে হত্যা এবং বহু মানুষকে হত্যা, নারীদের নির্যাতনের ঘটনায় এক ও দুই নম্বর অভিযোগে ইদ্রিস আলীকে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে মৃত্যুদ- দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আর চারজনকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার ঘটনায় তৃতীয় অভিযোগে আমৃত্যু কারাদ- এবং হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় চতুর্থ অভিযোগে সাত বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত।