দেলওয়ার হোসাইন: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) ও জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর। গতকাল রোববার এ নিয়ে ইসির নিরাপত্তা পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটালিয়ন আনসার, র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিয়েই এই নির্বাচনের নিরাপত্তা ছক তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মাঠে রাখছে না কমিশন। তবে ইসির সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ফরহাদ আহম্মদ খান বলেন, নাসিক ও জেলা পরিষদ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী ১০ ডিসেম্বর বৈঠক করবে কমিশন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ২৪ জন ও সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১২ জন অস্ত্রধারী ও সাধারণ কেন্দ্রে ১০ জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন।
ইসির প্রস্তাবিত নিরাপত্তা পরিকল্পনায় বলা হয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের পাহারায় অস্ত্রসহ ৭ জন পুলিশ, অস্ত্রসহ ৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, অস্ত্রসহ দুজন অঙ্গীভূত আনসার, লাঠিসহ ১২জন আনসার/ভিডিপি সবমিলিয়ে ২৪ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবে। সাধারণ কেন্দ্রে ওই সংখ্যা হবে ২২ জন। এতে অস্ত্রধারী নিরাপত্তা কর্মী দুজন কম থাকবে।