আমিনুর রহমান তাজ: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল চুরির তদন্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত গড়াতে পারে। এ স্পর্শকাতর চুিরর সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিক শিপলুর নাম পুনরায় উঠে আসছে।
সম্প্রতি বিশ্বকবির নোবেল চুরির ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরসহ বীরভূমে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি পুলিশ।
মামলাটি পুনর্তদন্তের নির্দেশ পাওয়ার পরই সিআইডি প্রদীপ বাউরি নামে এক বাউলকে গ্রেফতার করেছে। জেরায় নোবেল চুরির সঙ্গে এ বাউলের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। প্রদীপ বাউরি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বোলপুরের রুপপুর গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। প্রদীপ বাউরিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি জানতে পারে সঞ্জয় হাজারার নাম। পুলিশ সঞ্জয় হাজরাকেও বোলপুর থেকে গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রদীপ বাউরি জানিয়েছে, নোবেল চুরির সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে সে বোলপুরে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল। এদের মধ্যে জড়িত বাংলাদেশি নাগরিক হচ্ছেন মোহাম্মদ হোসেন শিপলু। বাকি দুজন ইউরোপীয় নাগরিক। এ তিনজনকেই প্রদীপ বাউরি আশ্রয় দেন। পরে নিরাপদে তাদের অন্য রাজ্যে পাঠিয়ে দেয়।
সিআইডি বলেছে, মোহাম্মদ হোসেন শিপলু নোবেল চুরির মাস্টারমাইন্ড। তাকেও তদন্তে আনা হচ্ছে। এদিকে বোলপুর থেকে গ্রেফতার হওয়া সঞ্জয় হাজারা ও প্রদীপ বাউরির ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে পুলিশ। শিপুল জড়িত থাকার কারণে মামলাটির তদন্ত বাংলাদেশ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
২০০৪ সালে বিশ্বভারতীয় মিউজিয়াম থেকে চুরি হয়ে যায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পদকসহ ৪৭টি স্মারক। সিবিআই দীর্ঘসময় তদন্ত করেও নোবেল চুরির তদন্তে কিনারা করতে পারেনি। ওই সময় দুর্বৃত্তদের সন্ধান দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল সিবিআই্। সংস্থাটি ইন্টারপোলেরও সাহায্য চেয়েছিল। তিনবছর তদন্ত করে ২০০৭ সালে সিবিআই তদন্ত বন্ধ করে দেয়। পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুনরায় নোবেল চুরির তদন্ত শুরু করে সিআইডি। কলকাতা ও সিআইডি পুলিশ যৌথভাবে নোবেল চুরির ঘটনাটি তদন্ত করছে। এজন্য একটি সিট (তদন্তকারী দল) গঠন করা হয়েছে। সম্পাদনা: আলাউদ্দিন