জাপার শীর্ষ ৪ নেতার প্রতিক্রিয়া এরশাদের পদত্যাগের পর গণতন্ত্রের ট্রেনে উঠেছে আ.লীগ-বিএনপি
রফিক আহমেদ: জাতীয় পার্টির চার শীর্ষ নেতা বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করায় নতুন করে গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই গণতন্ত্রের ট্রেনে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, তা ২০২১ ও ২০৪১ সালে গিয়ে থামবে।
গতকাল সোমবার জাপার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ প্রতিক্রিয়া জানান।
দলটির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেস্বর সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, এরশাদ দীর্ঘ ৯ বছর ক্ষমতায় থাকাবস্থায় দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, মুজিব নগর স্মৃতিসৌধসহ অনেক কিছু নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও ভূমি সংস্কার আইন, জাতীয় ওষুধ নীতি এবং জেলা পরিষদ, উপজেলা পদ্ধতি চালু, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্পোরেশন ও আধুনিক ঢাকা গড়ে তুলেছেন। তিনি হাইকোর্ট স্থানান্তর করে বিচার বিভাগকে মানুষের দৌরগোড়ায় নিয়ে এসেছেন। তবে স্বাস্থ্যনীতি করতে গিয়ে ডাক্তারদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। এতে আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় থাকাবস্থায় সমাজে সন্ত্রাসমূলক কার্যক্রম কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করে দেশের সংবিধানকে সমুন্বিত এবং গণতন্ত্রকে লালন পালন করেছেন। তার পদত্যাগের সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ও সংসদ সদস্যরাও প্রধান বিচারপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু পদত্যাগ করার পরও আমাদেরকে গ্রেফতার করেছে। এত কিছুর পরও জাতীয় পার্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে ৩৫টি আসন পেয়েছে। আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একাই ওই নির্বাচনে ৫টি আসনে জয়লাভ করেছেন। তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য একদিন এরশাদকে দেশবাসী মূল্যায়ন করবেন।
প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও শুভ যাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ পদত্যাগ করেছেন। যার ফলে ৬ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। এই গণতন্ত্রের ট্রেনের যাত্রায় শরিক হয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, তা ২০২১ ও ২০৪১ সালে গিয়ে থামবে।
প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায় বলেন, আমরা প্রতিবছর ৬ ডিসেম্বর সংবিধান ‘রক্ষা দিবস’ পালন করে থাকি। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও ৬ ডিসেস্বর জাতীয় পার্টি সংবিধান ‘রক্ষা দিবস’ হিসেবে রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি