একান্ত সাক্ষাৎকারে বাসদের খালেকুজ্জামান মন্ত্রী বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঘোষণায় জমি দখলকারীরা লাভবান হবে
রফিক আহমেদ: বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, মন্ত্রী রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র হবেই ঘোষণায় জাতীয় স্বার্থের বদলে জমি দখলকারী গোষ্ঠীই লাভবান হবে। গতকাল সোমবার একান্ত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। খালেকুজ্জামান বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার প্রভাব সুন্দরবনের উপর কিভাবে পড়বে, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কি মাত্রায় হতে পারে তার উপর দেশি-বিদেশি এবং জাতিসংঘের ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে সুনিশ্চিত মতামত ইতোপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পাল্টা বক্তব্য ও প্রচার প্রচারণা চালানো হয়েছিল তা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করানো হয়েছিল-তা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করানো যায়নি। কারণ ঢাকা শহরের চারিপাশে ছয়টি নদী বিশেষ করে বুড়িগঙ্গা নদীর চরম দূষণ ও দুর্গন্ধ যাদের পক্ষে এত কাছে বাস করেও দূর করা সম্ভব হয় না-ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণমুক্ত পরিবেশ নির্মাণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয় না-তাদের দ্বারাই আড়াইশ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষিত হবে-তা বিশ্বাস করা কঠিন। তাছাড়া এ প্রকল্পের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভারতের উজ্জ্বল কান্তি ভট্টাচার্য্য বলে দিয়েছেন- যে আল্টা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি বলে কোনো টেকনোলজি পৃথিবীতে নেই। যার পক্ষে সরকারের ভাড়াটিয়া বা নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ দল ততদিন কথা বলে আসছিলেন্ তারপরও মন্ত্রী যখন রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্র হবেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন-তার যুক্তিগত জাতীয় স্বার্থের বদলে জমি দখলকারী কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর পক্ষেই এক গুঁয়েমি মনোভাবের প্রকাশই ঘটিয়েছে। এ ধরনের মনোভাব সরকারের পায়ের তলা থেকেই আরও মাটি সরাবে। আমরা রামপালের চেয়েও বহুগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ব্যবস্থা দেখিয়েছি। আমরা আশা করি বৃহত্তর আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার আগেই সরকার রামপাল থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র সরাবে।