চীনের কারণে ভারতের সঙ্গে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরে বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। সোমবার বিকালে জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। পররাষ্ট্রন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি ‘সকল দেশের সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বৈরিতা নয়। বাংলাদেশ বরাবরই প্রতিবেশী দেশসহ প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বিশ্বাসী। আর প্রতিবেশী দেশসমূহের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতির অগ্রাধিকার। ভারতের ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ এবং ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানগত বাস্তবতার নিরীখে রচিত। অপরদিকে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি ও প্রকল্প সহযোগিতা এবং বাণিজ্য অর্থায়নসহ উন্নয়ন রাজনীতির বহু ধাপবিশিষ্ট ধারায় প্রবাহিত। ভারত এবং চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তাই স্বতন্ত্র, স্বকীয় এবং উন্নয়নের পরিভাষায় একে অপরের পরিপূরক। এ প্রেক্ষাপটে চীনের প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক সফরের কোনো নেতিবাচক প্রক্রিয়া কোথাও পড়বে বলে আমরা মনে করি না।
এ প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪-১৫ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সফর চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের উজ্জ¦ল দৃষ্টান্ত যা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে গভীর ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তার এ সফরকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে ২৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরের ফলে দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, ভৌত-অবকাঠামো, সড়ক-সেতু, রেল ও জলপথে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উৎপাদন, যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি, কৃষি ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সহযোগিতার পথ প্রশস্ত ও গভীরতর হবে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রতিবেশীর সাথে ইস্যু থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমাদেরও আছে। বাংলাদেশ পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সুপ্রতিবেশীসূলভ ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর সুফল আমরা ইতোমধ্যে পাওয়া শুরু করেছি। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার সংখ্যা বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার বিষয়ে ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায় হতে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম