বর্ণাঢ্য জীবন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের তামিনলাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ৬৮ বছর বয়সে চলে গেলেন। আজকাল
তার বর্ণাঢ্য জীবনের কিছু তথ্য এখানে তুলে ধরা হলো-
* জয়ললিতার মা প্রথমে নাটকে অভিনয় করতেন। পরে তামিল ছবিও করেন। মায়ের জুতোতেই পা গলান মেয়ে। ১৫ বছর বয়সে সিনেমায় হাতেখড়ি। কন্নড় ছবি ‘চিন্নাড়া গোম্ব’–তে। প্রথম ছবি দুর্দান্ত হিট।
* ধ্রুপদী সঙ্গীত শেখেন। পিয়ানো বাজাতে পারতেন। ভরতনাট্যম, মোহিনীআট্টাম, মণিপুরী, কত্থকও শিখেছিলেন।
* তাকে পুরাটচি থালাইভি (বিপ্লবী নেতা) বলা হতো। আত্মীয়, ঘনিষ্ঠ সহঅভিনেতারা ‘আম্মু’ ডাকত।
* তামিল সুপারস্টার তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম জি রামচন্দ্রনের বিপরীতে প্রথম ছবি ‘আয়িরাথি ওরুভান’।
* ১৯৬৮ সালে হিন্দি ছবি ‘ইজ্জত’। নায়ক ছিলেন ধর্মেন্দ্র।
* ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সালে অভিনেত্রী হিসেবে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেন। ছবি পিছু নায়িকাদের মধ্যে গোটা দেশে সবথেকে বেশি টাকা পেতেন তিনি। ওই সময় কমপক্ষে ১৪০টি ছবি করেন। ১২০টি দুর্দান্ত হিট।
*১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর মধ্যে এমজিআরের বিপরীতে প্রচুর ছবিতে অভিনয়। তখনই আলাপ। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৮২ সালে জয়ললিতাকে রাজনীতিতে আনেন। পরের বছর এআইএডিএমকে’র প্রচার সচিব হন।
* ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত এআইএডিএমকে’র রাজ্যসভার সংসদ। ইংরেজিতে তুখোড় ছিলেন বলে রামাচন্দ্রন তাকে দিল্লি রাজনীতিতে নিয়ে আসেন।
* ১৯৮৭ সালে মারা যান এমজিআর। কে দলের হাল ধরবে, সেই নিয়ে এমজিআরের স্ত্রী জানকী এবং জয়ার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। দল দুই ভাগ হয়ে যায়।
* ১৯৮৯ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন আম্মা। বিরোধী নেতা হন, প্রথম মহিলা হিসেবে। তার নেতৃত্বে গোটা দল ফের ঐক্যবদ্ধ হয়।
* বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বিধানসভার অধিবেশনে তাকে হেনস্থা করেন ডি এম কে বিধায়করা। তার শাড়ি ছিঁড়ে দেন। সেই অবস্থায় বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেকে ‘দ্রৌপদি’র সঙ্গে তুলনা করেন। গোটা রাজ্য তার পাশে দাঁড়ায়।
* ১৯৯১ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ। কনিষ্ঠতমও।
* পালিত ছেলে সুধাকরনের বিয়েতে কোটি কোটি টাকা খরচ। দেড় লাখ অতিথি আমন্ত্রিত হন। গিনেস বুকে নাম ওঠে। তবে তার জেরেই ১৯৯৬ সালে দল নির্বাচনে হারে।
* ২০০১ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ক্ষমতা হারান। ২০০৩ সালে ফের দায়িত্বে।
* ২০১১ সালে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন। আয়বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় ২০১৪ সালে জেল। মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারান। ভারতের ইতিহাসে প্রথম।
* ২০১৫ সালে বেকসুর খালাস। উপনির্বাচনে জিতে ফের মুখ্যমন্ত্রী।
* ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনেও জিতে যান।
* সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১ টাকা বেতন নিতেন জয়ললিতা। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ