নিজাম হাজারীর এমপি পদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রায়
বাংলা ট্রিবিউন: ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে একমত হতে পারেননি বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। গতকাল জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নিজাম হাজারীর সদস্যপদ অবৈধ ঘোষণার রায় দিলেও দ্বিমত পোষণ করে রায় দেন বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি। ফলে মামলাটি আবারো ঝুলে গেল। ফলে প্রধান বিচারপতি এ মামলাটি এখন ভিন্ন কোনো বেঞ্চে পাঠাবেন। নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের রায় ঘোষণার শুরুতে তার সদস্য পদ অবৈধ ঘোষণা হলেও এরপর রায় দেওয়া শুরু করেন কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়Ñ ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদ- হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’। এ প্রতিবেদনটি যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া। রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন দত্ত। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুর রহমান চৌধুরী। শুনানি শেষে ৬ ডিসেম্বর রায়ের দিন ধার্য করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুবছরের কারাদ-ে দ-িত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না।সম্পাদনা: আলাউদ্দিন