২০১৫ সালে সারা বিশ্বে ৩৭০.৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে এগিয়ে রাশিয়া ও পশ্চিম ইউরোপ, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
এম রবিউল্লাহ: ২০১৫ সালে সারা বিশ্বে অস্ত্র ও সামরিক পণ্য বিক্রি করা হয়েছে ৩৭০.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিকারক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিচ রিসার্চ ইনস্টিটিউশন (এসআইপিআরআই) এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়। ধারাবাহিকভাবে সেরা একশ কোম্পানির অস্ত্র বিক্রি কমেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০১১ সাল থেকেই অস্ত্র বিক্রি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বিক্রি হ্রাস পেয়েছিল।
২০১৫ সালে অস্ত্র বিক্রিতে শীর্ষ স্থানে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে দেশটির বিভিন্ন কোম্পানি। যা ২০১৪ সালের চেয়ে ২.৯ ভাগ কম। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘লকহিড মার্টিন’ এর এসআইপিআরআই-এর আর্ম অ্যান্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার প্রোগ্রামের পরিচালক অদি ফ্লোরেন্ট জানিয়েছেন, সামরিক খাতে মার্কিন আধিপত্য ধরে রাখতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে, তাতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চাহিদা কমে যাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে মার্কিন সামরিক অস্ত্র সরবরাহ করা বড় বড় কোম্পানিগুলোর কর্মকা-ে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সিএসআরএ, ইঙ্গিলিটি, প্যাসিফিক আর্কিটেক্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং নামের ছোট ও মাঝারি আকৃতির কোম্পানিগুলো ২০১৫ সালের শীর্ষে ছিল। ২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর অস্ত্র বিক্রির বৃদ্ধির হার ৬.৬ ভাগ। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের ৬টি কোম্পানি ২১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অস্ত্র বিক্রি করেছে। যা ২০১৪ সালের চেয়ে ১৩.১ ভাগ বেশি। ২০১৫ সালে কাতার ও মিসরের সঙ্গে সামরিক চুক্তির কারণে ফ্রান্সের অস্ত্র কোম্পানিগুলোর বিক্রি বেড়েছে বলে অদি ফ্লোরেন্ট জানান। ফ্রান্সের কোম্পানির মধ্যে ‘ডাসাল্ট এভিয়েশন গ্রুপ’ গ্রুপের বিক্রির
ছিল ৬৭.৫ ভাগ। এছাড়া ইউরোপের মধ্যে শীর্ষ একশ অস্ত্র বিক্রির তালিকায় রয়েছে জার্মানির তিনটি প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালে এই কোম্পানির অস্ত্র বিক্রি বেড়েছে ৭.৪ ভাগ। অন্যদিকে ব্রিটেনের অস্ত্র বিক্রি শীর্ষ একশ কোম্পানির মধ্যে থেকে নিচের দিকে চলে এসেছে। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালে বিক্রি বেড়েছে মাত্র ২.৮ ভাগ। ২০১৪ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে রাশিয়ার বিক্রি বেড়েছে ৬.২ ভাগ। দেশটি বিক্রি করেছে ৩০.১ বিলিয়ন অস্ত্র। এশিয়ার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বিক্রি বেড়েছে ৩১.৭ ভাগ। আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা উপলব্ধি করে অস্ত্র তৈরি করার এই সফলতা পেয়েছে দেশটি। এছাড়াও কোরিয়া অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রির বিক্রি বেড়েছে ৫১.৭ ভাগ। কোরিয়ার পোংসান, ডিএসএমই, হানওয়া থালস ২০১৫ সালে সেরা একশ অস্ত্র বিক্রির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া ২০১৪ সালের চেয়ে ভারতের অস্ত্র বিক্রি ২০১৫ সালে বেড়েছে ৯.৩ ভাগ। তুরস্কের ১০.২ ভাগ। ব্রাজিলের একমাত্র কোম্পানি ‘এমব্রাইয়ার’ রয়েছে সেরা একশ এর মধ্যে। ২০১৫ সালে এই কোম্পানির অস্ত্র বিক্রি কমেছে ২৮.১ ভাগ। এসআইপিআরআই ও ডয়েচে ভেলে