চট্টগ্রামে তল্লাশির নামে সাংবাদিককে হেনস্তা দুই পুলিশ প্রত্যাহার
বিডিনিউজ: চট্টগ্রামে তল্লাশির নামে ‘ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো চেষ্টার’ অভিযোগে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় তল্লাশি চৌকিতে চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফকে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক মোস্তফা বিষয়টি নগর পুলিশের উত্তর জোনের উপ-কমিশনারকে লিখিতভাবে জানান। সহকারী কমিশনার (পাঁচলাইশ জোন) জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি গ্রহণ করেন। এরপরই চান্দগাঁও থানার মোহরা পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত কনস্টেবল নাজমুল হাসান ও তন্ময়কে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কনস্টেবল
নাজমুল ও তন্ময়কে মোহরা পুলিশ বক্স থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশলাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে চেকপোস্টে দায়িত্বরত কর্মকর্তাসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা ইউসুফ জানান, সকাল ১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার বাড়ি থেকে লোকাল বাসে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে মোহরা পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল গাড়িতে তল্লাশি করতে ওঠে। এসময় তাকে ও আরও কয়েকজনকে তল্লাশি করার পর কিছু না পেয়ে দ্বিতীয়বার তাকে তল্লাশি করেন কনস্টেবল নাজমুল। পুলিশ সদস্যরা বাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় তার পেশা জানতে চান। নিজেকে চাকরিজীবী পরিচয় দেওয়ার পর নাজমুল ও তন্ময় তার শার্ট ধরে টেনে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশ বক্সে নিয়ে যান। সেখানে কনস্টেবল নাজমুল ও তন্ময় ইয়াবা উদ্ধারের জন্য তার এক্স-রে করানোর কথা বলেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে বলে একটি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রবেশদ্বার চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু, বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় ও আকবর শাহ থানার সিটি গেইট তল্লাশি চৌকিতে সাধারণ মানুষকে তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সোর্স দিয়ে হয়রানি, মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে তল্লাশি চৌকিতে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। বিদেশগামী ও বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদেরও হয়রানি করার অভিযোগ আছে। সম্পাদনা: আলাউদ্দিন