সব খাদ্য গুদাম অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী
জাফর আহমদ: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, দেশের খাদ্য ব্যবস্থাকে অনলাইনের আওতায় আনা হবে। খাদ্য বিতরণ পদ্ধতিকে কিভাবে অনলাইনে মনিটরং করা যায় সেসব বিষয়ে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গতকাল সকালে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্চ প্রোগ্রাামের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এম. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বদরুল
হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনোইস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম পরিচালক ড. অ্যালেক্স উইন্টার নেলসন, আইএফপিআরআই ওয়াশিংটনের পরিচালক ড. পাউল দরোস প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর আমাদের চাল আমদানি করতে হয় না। বিশ্বে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যমান খাদ্যনীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে পর্যালোচনা করে কিভাবে আরও মানসম্মতভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এ গবেষণা প্রকল্পের সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য ব্যবস্থাকে নির্ভেজাল রাখতে এ খাতকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদফতরকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় এনে ঢেলে সাজানো হবে। অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশের সব স্তরের খাদ্য ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে ডাটা করে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খাদ্য ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে খাদ্য গুদামগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে। দেশের প্রতিটি খাদ্য গুদামকে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্স প্রোগ্রামের কথা উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য এই গবেষণা প্রোগ্রাম অনেক বড় অবদান রাখবে। বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব নিরাপত্তার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার ও অ্যাক্টিং কান্ট্রি পরিচালক রাজশ্রী এস প্যারালকার বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে অনেক পথ এগিয়েছে। এই খাদ্য উৎপাদনকে ধরে রাখতে খাদ্যের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম