ট্রাম্প-তাসি ইংওয়েন ফোনালাপে হোয়াইট হাউসের সতর্কতা
পরাগ মাঝি: সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাসি ইংওয়েনের ফোনালাপ ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছে হোয়াইট হাউস। তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের রেওয়াজভাঙা ফোনালাপের জন্য চীনা কর্তৃপক্ষও ইতোমধ্যে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। প্রতিক্রিয়ায় এ ধরনের ফোনালাপ ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করা হয়। এই ফোনালাপকে নির্দেশ করে হোয়াইট হাউসের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে
এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত যোগাযোগ ১৯৭৯ সাল থেকে চীনের সঙ্গে যে ‘ওয়ান চায়না’ নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র আবদ্ধ তাতে ফুটো তৈরি করতে পারে।
হোয়াইট হাউস মুখপাত্র জন আর্নেস্ট বলেন, ‘এই কলটি চীন আমেরিকা সম্পর্ককে বিপন্ন করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চীন সরকার এবং বেইজিং তাদের নিজস্ব সমস্যাগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। সাম্প্রতিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় আমেরিকা যে সম্পর্ক তৈরি করেছে তা ভন্ডুল হয়ে যেতে পারে।’
মি. আর্নেস্ট জানান, জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরা ইতোমধ্যেই চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং ‘ওয়ান চায়না’ নীতিকে সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, ঠিক কী উদ্দেশ্যে ট্রাম্প ওই ফোন কলটি করেছিলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। যদিও ট্রাম্প এ ব্যাপারে রোববার তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ ঘটনায় ট্রাম্পের বক্তব্য বিভিন্ন সময় ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। তিনি এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন যে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টই তাকে ফোন দিয়েছিলেন। কিন্তু তাইওয়ানের বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনুসন্ধান বরং ট্রাম্পের ট্রানজিশন টিমকেই দায়ী করছে। স্কাই নিউজ