গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে হাইকোর্টে তলব
বিডিনিউজ: গোবিন্দগঞ্জে চিনিকলের বিরোধপূর্ণ জমি থেকে উচ্ছেদের সময় গুলির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে সাঁওতালদের ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ বলায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসককে তলব করেছে হাইকোর্ট। গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদকে আগামী ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্টে হাজির হয়ে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ওই উচ্ছেদের ঘটনায় দায়ের করা দুটি রিট আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানিতে গতকাল গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের দেওয়া একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। আদালত বলেছে, পাকিস্তানি আমলে ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ একটি উন্নাসিক শব্দ। এ ধরনের শব্দ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিরা ব্যবহার করত। জেলা প্রশাসক ‘আইন অমান্যকারী’ বা অন্য কোনো শব্দ ব্যবহার করতে পারতেন। তা না করে কেন তিনি ‘বাঙালি দুষ্কৃতকারী’ লিখেছেন, তার ব্যাখ্যা জানা প্রয়োজন।
সাঁওতালদের পক্ষে করা প্রথম মামলার বাদী স্বপন মরমুকেও ১২ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করতে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আসকের রিট
আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানিতে গতকাল আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী এম আমিনউদ্দিন আদালতকে বলেন, সাঁওতালদের নামে করা প্রথম মামলার বাদী স্বপন মুরমু আদৌ সাঁওতাল নন, তিনি মাহালি সম্প্রদায়ের। পিবি আইয়ের মাধ্যমে গোবিন্দগঞ্জের ঘটনার তদন্ত চান এই আইনজীবী। অন্য রিট আবেদনে দেওয়া রুলের শুনানিতে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আদেশ চান। এ সময় বিচারক বলেন, ‘এটা আমরা পরে দেখব। আগে আদেশ দিই।’